শীত সন্ধ্যায় জমল নাটক। নিজস্ব চিত্র
এ ক’দিন সন্ধ্যায় চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টিভির পর্দায় একের পর এক সিরিয়াল দেখা নয়। বরং দিনভর গৃহস্থের কাজ সেরে সন্ধেটা ঝিম মেরে এলে গুটিগুটি পায়ে বেরিয়ে পড়া। বড়দিনের ছুটি পড়েছে। তাই গরম জামাকাপড় পরে সঙ্গী ছেলেমেয়েরাও।
নতুন বছর পড়ার আগে ফি বছর নাটকের আসর বসে কান্দিতে। এ বছরও বসেছে। পুরসভা কার্যালয় সংলগ্ন হ্যালিফক্স ময়দানে। ঝড় নাট্যগোষ্ঠী উদ্যোগী হয়ে আয়োজন করেছে ‘সারা বাংলা নাট্য উৎসব’। সেই নাট্য আসরে রাত পর্যন্ত ঠান্ডা উপেক্ষা করে নাটক দেখছেন মেয়েরা। যা অভিভূত করেছে উদ্যোক্তাদের।
২৫ ডিসেম্বর থেকে কান্দিতে শুরু হয়েছে ওই নাট্য উৎসব। উদ্যোক্তাদের দাবি, দু’হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে নাটক দেখতে পারবেন এত বড় মণ্ডপ গড়া হয়েছে। সেখানে নাটক দেখতে ভিড় করছেন মেয়েরাও। উদ্যোক্তাদের মধ্যে দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, “সন্ধে নামলে প্রায় দেখা যায় মেয়েরা টিভির সামনে বসে পড়েছেন। সিরিয়াল দেখছেন। কিন্তু সিরিয়াল ছেড়ে এ ভাবে নাট্য উৎসবে মেয়েরা ভিড় করবেন ভাবতে করতে পারিনি।”
নাট্য উৎসবে কান্দি ছাড়াও আসেপাশের জজান, গুন্দিরিয়া, বহড়া এমনকী বড়ঞার পাঁচথুপি, বড়ঞা, ডাকবাংলা থেকেও বহু মানুষ নাট্য উৎসবে হাজির হয়েছেন। বিন্দারপুর থেকে এসেছিলেন নটবর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শীতের সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে পা রাখতেই ভাল লাগে না। কিন্তু সারা বছর তো নাটক হয় না। তাই ঠান্ডা উপেক্ষা করে নাটক দেখতে ঠিক বেরিয়ে পড়ি।”
কী বলছেন মেয়েরা? সনিয়া দাস, পম্পা বসুরা বলেন, “রাতের খাবার বিকালের মধ্যে তৈরি করে নিই। তারপর ছেলেমেয়েদের হাত ধরে নাট্য উৎসবে চলে আসি। টিভির সিরিয়াল সারা বছর পাওয়া যাবে। কিন্তু খোলা মঞ্চে নাটক! সেটা সব সময় হবে না।’’ নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক পঞ্চানন দাস বলেন, “মহিলাদের এমন উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে উৎসবের আয়োজন করা সার্থক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy