এই ছবিগুলি ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
সিনেমা মানে শুধু যে মনোরঞ্জন, তা কিন্তু নয়। অনেক সময়ই সমাজের দর্পণের ভূমিকা পালন করে চলচ্চিত্র। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বানানো সিনেমা ঘিরে চর্চাও হয় জোরদার। বিতর্কের জেরে শেষমেশ প্রেক্ষাগৃহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না অনেক ছবিই। আবার কখনও দেখা যায়, সেন্সর বোর্ড কাঁচি চালানোর পর নিজেদের ছবি মুক্তির ছাড়পত্র পান নির্মাতারা। এমনই সাত ছবি, যা ঘিরে জোর বিতর্ক হয়েছিল, সেগুলি খুব সহজেই দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।
হালফিলে ‘নেটফ্লিক্স’, ‘অ্যামাজন প্রাইম’, ‘ইউটিউব’-এর দৌলতে ওই বিতর্কিত ছবিগুলো খুব সহজেই দেখা যাবে। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ‘পাঁচ’, ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’, ‘বন্দিত ক্যুইন’, ‘ফায়ার’, ‘ফিরাক’, ‘গারবেজ’— এই ছবিগুলি মুক্তির সময় বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। বিতর্কের জেরে মুক্তির সময় বহু সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারেনি এই ছবিগুলি। কিন্তু বর্তমানে সহজেই চাইলে দেখতে পাবেন এই ছবিগুলি।
পাঁচ মাদকাসক্ত বন্ধুর কাহিনি তুলে ধরা হয়েছিল ‘পাঁচ’ সিনেমায়। এই ছবির হাত ধরেই পরিচালক হিসাবে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল অনুরাগ কশ্যপের। বর্তমানে ‘মুবি’-তে (যেখানে অনলাইনে সিনেমা দেখা যায়) এই সিনেমা দেখা যাবে।
১৯৯৩ সালে তৎকালীন বম্বে বিস্ফোরণ নিয়ে অনুরাগ কশ্যপের ছবি ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ সিনে মহলে বিতর্ক তৈরি করেছিল। নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে এই ছবি। চার নারী চরিত্রকে নিয়ে তৈরি অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তবের ছবি ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’ ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ছবির নানা দৃশ্যে আপত্তি উঠেছিল। যার জেরে ছবির একাধিক দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়। ‘অ্যামাজন প্রাইম’-এ এই ছবি দেখা যাবে।
ফুলন দেবীর জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘ব্যান্ডিট ক্যুইন’। এই ছবি দেখা যাবে ‘অ্যামাজন প্রাইম’-এ। দুই নারী চরিত্রকে নিয়ে তৈরি ‘ফায়ার’ ছবি ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ‘ইউটিউবে’ দেখা যাবে এই ছবি।
২০০২ সালে অশান্তির ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘ফিরাক’ ছবি। কিন্তু গুজরাতে এই ছবি মুক্তিতে ছাড়পত্র দেয়নি সরকার। ‘জিয়ো সিনেমা’য় দেখা যাবে এই ছবি। এক মহিলার ‘সেক্স টেপ’ ফাঁস হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘গারবেজ’ ছবিটি। এই সিনেমা ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে ‘নেটফ্লিক্সে’ দেখা যাবে এই ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy