ছবির প্রধান তিন চরিত্র।
শহুরে রাত। নিজের তালে বয়ে চলেছে জীবনযাপন। স্ট্রিট ল্যাম্পগুলো পাহাড়া দিচ্ছে নিয়ম মেনে। ঠিক তখনই ফোনে কথা বলছিলেন তাঁরা। তাঁদের কথা বুনে চলেছে নতুন একটা গল্প। রাতের গল্প। শহরের গল্প। ‘গুড নাইট সিটি’র গল্প…।
আগামিকাল মুক্তি পাচ্ছে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুড নাইট সিটি’। সেখানেই পরিচালক চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন রাতের গল্পকে ঘিরে। যেখানে সুতোয় বাঁধা তিন চরিত্রের কথোপকথন।
তিন চরিত্র কারা? এক অপরাধমনস্ক মানুষ, এক মনোবিদ এবং পুলিশের এক বড়কর্তা। এই তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চত্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
কমলেশ্বর বললেন, ‘‘অ্যানালিটাক্যাল সাইকোলজি যে ভাবে এগোয়, সে ভাবেই এই ফোনালাপের মাধ্যমে ঋত্বিকের জীবনের গল্প জানতে পারবেন দর্শক। তাই থ্রিলারের মতো করে শুরু হয়েও ফাইনালি এটা একটা হিউম্যান স্টোরি হয়ে ওঠে।’’ পাশাপাশি ঋতুপর্ণা এবং শাশ্বত এ ছবির দম্পতি। ফোনের কথোপকথনে এঁদের সম্পর্কও আনফোল্ড হতে থাকে বলে জানালেন পরিচালক।
আরও পড়ুন, ‘রেনবো জেলি দেখে হয়তো ভাববেন আমি আবার জিততে পারি’
পরিচালক সত্তার পাশাপাশি কমলেশ্বের অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। তিনি চিকিত্সক। ঋত্বিকের চরিত্র বুনতে কোনও বাস্তব চরিত্রের কি সাহায্য নিয়েছিলেন? কমলেশ্বর শেয়ার করলেন, ‘‘আমি যখন ইন্টার্নশিপ করেছি বা পরেও অনেক অ্যানালিটিক্যাল সাইকোলজি সেশনে গিয়ে এ ধরনের বহু চরিত্র দেখেছি। লেখাটা অনেক আগেই। তবে কিছুদিন আগে রবিনসন স্ট্রিটে পার্থ দে-র ঘটনা সামনে আসার পর এটা আরও ত্বরান্বিত হয়। পার্থর জীবনের সঙ্গে না মিললেও পার্থর চরিত্রের ছায়া এখানে রয়েছে।’’
গ্ল্যামারাস ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে অন্য লুকে এই ছবিতে দেখবেন দর্শক। আর তা নিয়ে উত্তেজিত নায়িকা বললেন, ‘‘আমার চরিত্র মনোবিদের। নাম আভেরি। এমন আগে কখনও করিনি। কমলদার সঙ্গেও প্রথম কাজ। খুব ভাল লেগেছে। আমার নিজের কাকা ইন্দ্রজিত্ সেনগুপ্ত চিকিত্সক। ওঁকে দেখেছি। সেখান থেকে কিছু ম্যানারিজম এই চরিত্রে আনার চেষ্টা করেছি।’’
দেখুন, এই ছবির ট্রেলার
এ ছবিতে অপরাধমনস্কের চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক। বাস্তবের দেখা কোনও চরিত্রকে কি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন? ঋত্বিক শেয়ার করলেন, ‘‘এমন মানুষ আমি অনেক দেখেছি। তবে কমলদার দেখাটা চিকিত্সকের চোখ দিয়ে। ফলে প্রচুর আলোচনা হয়েছে কমলদার সঙ্গে। শুটিং চলাকালীন বা তার আগেও। সেই আলাপ-আলোচনাটাই প্রস্তুতি ছিল।’’
ঋত্বিকের ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে সৌরভ দাসকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার চরিত্র নিয়ে বেশি কিছু বললে গল্পটা বলা হয়ে যাবে। তবে একটা কথা বলতে পারি, শুধু পরিচালক নয়, আমি অভিনেতা কমলেশ্বরের ভক্ত ছিলাম। সেখান থেকে তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ। আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র, এটা আমার বিশাল বড় পাওনা।’’
আরও পড়ুন, ‘ছবির গানে খুব লবি চলে’
‘গুড নাইট সিটি’র শুটিং নাকি ছিল পরিচালকের কাছে অভিনয় শেখার ক্লাস। কারণটা শেয়ার করতে গিয়ে কমলেশ্বর বললেন, ‘‘শাশ্বতর সঙ্গে আমি আগে কাজ করেছি। ফলে জানতাম ও কেমন করবে। কিন্তু ঋতু-ঋত্বিকের সঙ্গে কাজ করে আমি থ্রিলড। ওরা অভিনয়টা অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া অরুণিমা ঘোষ, পায়েল সরকার, সৌরভ দাস, সায়নী ঘোষ— প্রত্যেকের কাছ থেকে আমি শিখেছি। গুড নাইট সিটি আমার জন্য ছিল অভিনয় শেখার ক্লাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy