Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পঞ্চপাণ্ডব

আইপিএল ৭-এর বিউগল বাজবে বুধবার থেকে। শত বিতর্কের মধ্যেও কোন কোন ক্রিকেটারের উপর বিশেষ লক্ষ রাখবেন, জানাচ্ছেন জি এস বিবেক।উপরের ছবিগুলো দেখে ভাবতেই পারেন, এ আর নতুন কী! কিংবা কোনও নাম এসেছে শুধুই ইমোশনে। সে যা-ই হোক, এদের উপেক্ষা করার উপায় নেই। এ বারের আইপিএল-এ এই পঞ্চপাণ্ডবের দিকে নজর রাখতেই হবে।

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

উপরের ছবিগুলো দেখে ভাবতেই পারেন, এ আর নতুন কী! কিংবা কোনও নাম এসেছে শুধুই ইমোশনে। সে যা-ই হোক, এদের উপেক্ষা করার উপায় নেই। এ বারের আইপিএল-এ এই পঞ্চপাণ্ডবের দিকে নজর রাখতেই হবে।

বীরেন্দ্র সহবাগ (কিংস ইলেভেন পঞ্জাব)

বীরেন্দ্র সহবাগ

দামি গাড়ির সারি কিংবা আর ডি বর্মন-কিশোরকুমারের সুরেলা সাহচর্য, ছত্তরপুরের ফার্ম থেকে রোশনারা ক্লাবে আসার ১১০ কিলোমিটার পথের ধকল কাটাতে পারে না। কিন্তু রঞ্জি মরসুমে সেটাই প্রতিদিন হাসিমুখে করেছে সহবাগ। মরসুমের আগেও। আর প্রত্যেক বার মাঠ থেকে যখন কম রানে বাড়ি যেতে হয়েছে, নিজেকে প্রতিদিন জিজ্ঞেস করেছে ‘আখির কব তক?’ তখনই সেই বিখ্যাত হাসিটা আবার ফেরত এসেছে।

বাইরে থেকে সবাই দেখেছেন বয়স বাড়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সহবাগের অপরিসীম লড়াই। সেই সঙ্গে কমে আসা রিফ্লেক্স আর দৃষ্টিশক্তি কমে আসার ফলে বারবার হেডলাইনে উঠে আসা। সহবাগ কিন্তু এটাকে কেরিয়ারে লুকোচুরি খেলাই ভেবেছে। আর দাঁতে দাঁত চেপে ধৈর্য ধরে থেকেছে ফর্ম ফেরত আসার জন্য। প্রতিদিন চল্লিশ মিনিটের জিম, পঞ্চাশ মিনিট ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ব্যাটিং কিংবা সপ্তাহে তিন দিন হরিয়ানার স্কুলে সময় কাটানো। ট্রেডমিলে সময় দিয়ে আর ডায়েট শুধু স্যালাডে বেঁধে রেখে পাঁচ কিলো ওজন কমিয়েছে, সেই সঙ্গে কোমরও কমিয়েছে দু’ইঞ্চি। সহবাগের ফর্মের ঝলক দেখা গেল, যখন নিজের টাকায় মুম্বই গিয়ে ডি ওয়াই পাটিল টুর্নামেন্টে সিএজি-র হয়ে ফেব্রুয়ারিতে খেলল। আর স্বাভাবিকের থেকে একটু ছোট ব্যাট নিয়ে ২০ বলে করল ৪৮ রান।

“কমে আসা রিফ্লেক্স আর দৃষ্টিশক্তি বারবার সহবাগকে হেডলাইনে
তুলে আনলেও ও দাঁতে দাঁত চেপে ধৈর্য ধরেছে ফর্মে ফেরত আসার জন্য”

দুবাইতে এমসিসি টাইয়ের জন্য যাওয়ার আগে নিজের ফর্ম ফেরত আসার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বন্ধু রাজু শর্মাকে। ট্যুইটারে সেলফি দেওয়ার আগেও লাঞ্চের সময় রাজুকে ফোন করে বলেছিলেন, “কী, বলেছিলাম তো!” তখন এমসিসি-র হয়ে ৯৫ রানে ব্যাট করছে সহবাগ।

দিল্লি ডেয়ারডেভিলস্‌ তাকে না-রাখলেও, অনেকের মতো রেগে যায়নি। বরং উল্টো প্রশ্ন করেছে: ‘একটা বিজনেস হাউজ কেন আমার উপর বিনিয়োগ করবে?’ সহবাগ খেলতে ভালবাসে, কিংস ইলেভেন পঞ্জাবই হোক না কেন। সহবাগ আরও বেশি করে ক্রিকেটকে উপভোগ করতে লাগল। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং, বিশেষ ভাবে তৈরি কনট্যাক্ট লেন্স আর একটা বাড়তি চশমা সব তৈরি হল যদি কাজে লাগে ভেবে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্ট রানের ঝড় তার ফেরত আসা ফর্মকে বাড়তি ওজন জোগাল। আইপিএল-এও তার অন্যথা হবে না। সহবাগের ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা আইপিএল-এ বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। পিচ তার কাছে কোনও দিনই তেমন গুরুত্ব পায়নি। পিচ দেখতেও তেমন কোনও উত্‌সাহ কোনও দিন তার ছিল না। কিন্তু সহবাগের ৩.২ কোটির প্রাইস ট্যাগ হয়তো কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে সিংহাসনে বসিয়ে দেবে। আর অধিনায়কত্বের বোঝা না থাকায় টুর্নামেন্টের ‘সেরা খোঁজ’ হতে পারে সহবাগই।

বিরাট কোহলি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স)

বিরাট কোহলি

বিরাট পশ্চিম দিল্লির যে ঘিঞ্জি পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, সেখানে জায়গার মহিমা বিশাল। শহরতলিতে বিরাটের বিল্ডিংটাই ওর স্বপ্নের সেই বাসস্থান। বিরাটের বেডরুমের ব্যালকনিতে আস্ত একটা সুইমিং পুল ছাড়াও থাকবে দামি রং করা এমন একটা ঘর, যেখানে থাকবে ওর সব ট্রফি। নতুন বাড়ির জন্য কিছু মেমেন্টো কিনতে চলেছে বিরাট।

আপাতত জায়গা নিয়ে সমস্যার কারণে বিরাট ওর সংগ্রহগুলোকে রেখেছে অন্য একটা ঘরে। বিরাটের পার্পল প্যাচ, এমনকী অ্যাভারেজের সব নিয়মকানুনও প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রভাব রেখে যান, এমন প্লেয়ারদের তালিকায় বিরাটের নাম না থাকলে সে তালিকা তো অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। বিরাট একার ক্ষমতাতেই ম্যাচ জিতে বেরিয়ে যায়। আইপিএল-এ তিন নম্বর পজিশনটা এখন পাক্কা বিরাটের। অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব হয়তো আর কিছু দিনের মধ্যেই সামলাতে হতে পারে বিরাটকে। কাজেই ওর দায়িত্ববোধ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে বিরাটের যা ফর্ম, তাতে ক্রিস গেলের মতো পার্টনারও বিরাটের কাছে লিলিপুট।


“রানের মতোই বিরাটের জীবনটাও সব সময়ই হেডলাইনে থেকে যায়”

রানের মতোই বিরাটের জীবনটাও সব সময়ই হেডলাইনে থেকে যায়। অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে বিরাটের লাভ অ্যাফেয়ার সাম্প্রতিকতম শিরোনাম। দুবাইয়ে আইপিএল খেলতে যাওয়ার আগে অনুষ্কা আর বিরাটকে দেখা গিয়েছিল যোধপুরে। গোটা পৃথিবীর সামনেও বিরাট কোনও দিনই মুখচোরা নন। আর পর্দাতেও বেশির ভাগ সময়ই বিরাটকে দেখা গিয়েছে ব্যাড বয়-এর চরিত্রে। বিরাটের বক্তব্য অনুযায়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এক দুর্দান্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি যারা প্লেয়ারদের পারফর্ম করার সুযোগ দেয়। আর বিরাটও ব্যাপারটাকে এক্কেবারে ইনফর্মাল রাখার পক্ষপাতী।

স্লো পিচে ক্রিস গেল এখন রীতিমতো যুদ্ধ করছেন। সেই তুলনায় বিরাটের অবস্থান অত্যন্ত সুবিধেজনক। তাঁর ব্যক্তিগত অনুরোধেই আরসিবি বাধ্য হতে পারে যুবরাজকে কিনে নিতে। যে অনুরোধের মূল্য হয়তো ১৪ কোটি টাকা। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি জানে যে বিরাট যুবরাজকে দিয়ে এমন এমন ম্যাচ বের করে আনবে যা আশেপাশে আর কেউ করতেই পারবে না। অকশনের পর আরসিবি টিমটা হয়েছিল দেখার মতো। ব্যাটিং লাইন আপ-য়ে ছিল ক্রিস গেল, এবি ডে’ভিলিয়ের্স, যুবরাজ সিংহ, অ্যালবি মরকেল-দের মতো সব নাম। যদিও বিরাটের এখনকার ফর্মে আরসিবি-র আর কাউকেই প্রয়োজন পড়বে বলে মনে হয় না। ওয়ান ম্যান আর্মি হিসেবে নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শেষ পর্যন্ত টেনে নেওয়ার ক্ষমতা বিরাটের আছে। ঠিক যেমন ও টিম ইন্ডিয়াকেও টেনে তুলেছে বহু বার।

সুনীল নারিন (কলকাতা নাইট রাইডার্স)

সুনীল নারিন

ক্রিকেট যদি বেসবলের মতো হয়ে যায়, তা হলে তো ‘নাকল্‌বল’ জিনিসটাকে আর্কাইভ থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। ডেনিস লিলি ‘আর্ট অব ফাস্ট বোলিং’য়ে প্রথম বার যাঁকে জনপ্রিয় করে গিয়েছিলেন, সেই ‘নাকল্‌বল’কে এখন অবিস্মরণীয় করে তুলেছে নারিন নিজে। নারিনের লাফ, হাই-আর্ম অ্যাকশন আর সিম পজিশন লিলির ম্যানুয়াল অনুযায়ী একজন কোয়ালিটি পেসার হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। গোলাপি রঙের প্রতি নারিনের আসক্তি ওর ফ্যানেদেরও চমকে দেয়। এটাই সুনীল নারিন। ভাবলে আশ্চর্য হবেন না যে সাদা চামড়ার এক বিখ্যাত ক্রিকেটারের নামেই সুনীলের নাম রাখা হয়েছিল।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের টিম সদস্যরা তো এখন তেড়েফুঁড়ে নিজেদের তৈরি করছে সুনীলের সঙ্গে কমেডি নাইটস খেলার জন্য। কারণ ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে সুনীল যতটা মজা করে , ড্রেসিং রুমে থাকা বাকি টিম মেম্বাররাও কিন্তু তার সেই মজার হাত থেকে রেহাই পায় না। গল্পে দৈত্যের প্রাণটা যেমন টিয়াপাখির ভেতর বন্দি থাকে, তেমনই নারিনের নির্যাস লুকিয়ে রয়েছে ‘মোহক’-এর মধ্যে।

একটা ট্রায়াল ম্যাচে পরপর দশটা উইকেট নেওয়ার পরই জেল দেওয়া মোহকের বাহারি ঢেউ খেলে গিয়েছিল নারিনের চুলে। সেই শুরু। নারিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উচ্চতা যতই ছুঁচ্ছে, মোহকও নারিনের সঙ্গেই থেকে যাচ্ছে। তবে নারিনের মতে মোহক নাকি লাকি চার্ম। তার যশ, প্রতিপত্তির জন্যও নাকি অনেকটাই পয়া।

শারজা আর দুবাইয়ের উপ-মহাদেশীয় উইকেটে নারিনকে খেলা যে সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার হবে, তা নির্ভাবনায় বলা যায়। সম্ভাব্য সব রকম পরিস্থিতিতেই নারিন হেসেখেলে উইকেট নিতে দক্ষ। ব্যাটসম্যান যথেষ্ট সেফ খেললেও ১৬ ওভারের বেশি কখনওই নারিনের বিরুদ্ধে টিকতে পারবে না। একমাত্র বোলার হিসেবে নারিনেরই আন্ডার ফাইভ অ্যাভারেজ রয়েছে সাম্প্রতিক বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে। তবে নারিনকে নিয়ে সেই সাসপেন্সটা নেই আর! নারিন মাঝের আর শেষের ওভারে বল করবে, উইকেট তুলবে আর রান চেক করবে। এই ডিলটা তো সবার জানা। গৌতম গম্ভীরকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। টিভিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে নারিনকে বল করতে দেখে কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে ফোন করে তিনিই তো বলেছিলেন নারিনকে কিনে নেওয়ার জন্য। সে তাঁর মূল্য যতই হোক না কেন। বাকিটা তো ইতিহাস। তবে কেকেআর-এর ভাগ্য যে নারিনের হাত ধরে অনেকটাই খুলে যাবে, তা তো জানাই।

লাসিথ মালিঙ্গা (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স)

লাসিথ মালিঙ্গা

মহাভারতের অর্জুন যেমন শুধু পাখির চোখ দেখতেন, লাসিথ মালিঙ্গাও ব্যাটসম্যানের বুট ছাড়া আর কিছু দেখেন না। সত্যি বলতে, প্র্যাকটিস সেশনের সময় তো এর মানেটা আক্ষরিক অর্থে তা-ই দাঁড়ায়। মালিঙ্গার সিঙ্গল উইকেট সেশনগুলোতে ক্রিজের ওপর রাখা থাকে একটা জুতো। আর মালিঙ্গার লক্ষ্যই থাকে জুতোর টো-এন্ড হিট করা। মালিঙ্গা কিন্তু সেটাতেও পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে।

ডেথ ওভারগুলোর জন্য মালিঙ্গার উপর বাজি ধরাই যায়। ওই অস্বস্তিকর কোণ থেকে আসা অফ-কাটার বা স্লোয়ারগুলো যে-কোনও ব্যাটসম্যানকে বিব্রত করে তুলবে। মালিঙ্গাকে টিমে পাওয়া মানে অধিনায়কের হাতে চাঁদ চলে আসা। ও খুব তাড়াতাড়ি বল করতে পারে। আর নতুন বলে তো ওর জুড়ি মেলা ভার। তেমনই বলের পালিশ চলে গেলেও কোন অসুবিধা নেই মালিঙ্গার। বল নিয়ে ওর কারিকুরির ভালই ফায়দা তুলবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

প্রচণ্ড চালাক আর চিন্তাভাবনা করে বল করে ও। যে কোনও পরিস্থিতি সহজেই মেপে ফেলতে পারে, আর সেই মতো বল করে। বিপক্ষকে একা হাতে শেষ করার ক্ষমতা রাখে মালিঙ্গা। মুম্বই ওকে সেই প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। অনেক বছর ধরে রেখেও দিয়েছে টিমে। মালিঙ্গাও তার প্রতিদান দিয়েছে। নিজের স্বার্থ উপেক্ষা করে খেটে গিয়েছে। মুম্বই যদি এ বার শীর্ষ খেতাব পায়, তা নির্ভর করবে মালিঙ্গার উপর, আর বিপক্ষকে কত রান ও করতে দিল।

কেভিন পিটারসেন (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস্‌)

কেভিন পিটারসেন

স্মার্টফোনের উপর খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে কেভিন পিটারসেনের আঙুল। কী? টেক্সট-গেট স্ক্যান্ডেল? ওটা একবারই হয়েছিল। কিন্তু কেপি টেক্সট করা কমায়নি অধিনায়ক হিসেবে টিমের বাকি সদস্যদের সব সময় টেক্সট করে যায়। অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য। দিন হোক কী রাত যে-কোনও সময় আসতে পারে সে মেসেজ। ‘জলদি-জলদি’র মতো কিছু কিছু হিন্দি শব্দ শেখা ক্রিকেটারদের মধ্যে কেভিন কিন্তু অন্যতম। কেভিন মনে করে তাতে স্থানীয়দের সঙ্গে সহজেই মিশে যাওয়া যায়। সেটা করতও কেপি। কখনও ইয়াংস্টারদের টিপস দিচ্ছে, তো কখনও তাদের টেকনিক্যাল ত্রুটি দেখিয়ে দিচ্ছে। অনেকই হয়তো জানেন না, প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে বিরাট কিন্তু কেপি-র পরামর্শ নিয়েছিল। বিরাটের ইনিংসটা তো সকলের জানা। বিরাট আর কেপি হল বেস্ট ফ্রেন্ডস।

কেপি খুব নম্র ও নিরহঙ্কার। অন্যের সাহায্য নিতে একটুও পিছপা হয় না। মানে যদি স্পিন খেলতে রাহুল দ্রাবিড়ের টিপস লাগে, ও চেয়ে নেবে। রানের খিদে অসম্ভব। নিজের দায়িত্বে দলকে জেতাতে সব সময় মুখিয়ে থাকে ও। গত কয়েক সপ্তাহ তো কেপির জগত্‌ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস্‌-কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। ওর টিমের সদস্যরা বলে, কেপির মধ্যে বাচ্চাদের মতো জেতার মোহ রয়েছে। ছকভাঙা ব্যাটিং ওর থেকেই পাওয়া যায়।

বোলারদের উপর কেপির আধিপত্য শুধু ওর ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই স্বপ্নের নয়, সারা বিশ্বই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ফিনিক্সের জেগে ওঠা দেখতে। কেপি-র টাইমিং তুলনাহীন, স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ওর ব্যাটিং অনবদ্য। আমিরশাহিতে আগেও খেলার অভিজ্ঞতা কেপি-র আছে, সেটা ওর কম ম্যাচ প্র্যাকটিসকে পুষিয়ে দেবে।

আইপিএল যদি স্বপ্ন শুরুর রকেট হয়, তবে কেপির রান করা আর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের আইপিএল জেতা সেই স্বপ্নের অন্যতম। যে-কোনও টুর্নামেন্টেই কেপি একটা ফ্যাক্টর। আর রাগী কেপি তো এই আইপিএল-এর এক্স-ফ্যাক্টর।

(লেখক এবিপি নিউজ-এর ক্রিকেট প্রতিনিধি)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ipl-7 panchapandav gs vivek ananda-plus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE