গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একটানা ঘুরে বেড়ানো, অদ্ভুত সব সময়ে হোটেলে ঢোকা বা হোটেল ছাড়া, কাঠফাটা গরম বা স্টেডিয়ামের গেটে বিশাল জনস্রোত— এর কিছুই আমাকে ক্লান্ত করতে পারেনি।
আমার কাছে আইপিএল মানে তরুণ প্রতিভার উঠে আসার মঞ্চ। এই সোনা বাঁধানো রাস্তায় এর আগে অনেক তরুণ হেঁটে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতেও হাঁটবে।
এই বছরে সম্ভবত আইপিএল-কেও ছাপিয়ে গিয়েছিল দুই আফগান ক্রিকেটারের কাহিনি। একটা দেশ চল্লিশ বছর ধরে যুদ্ধে বিধ্বস্ত। আর সেই দেশই কিনা গুলি-বোমার মাঝখান থেকে বিশ্বমঞ্চে তুলে আনছে ক্রিকেট মাঠের নায়ক। রশিদ খান, মহম্মদ নবির আইপিএল পারফরম্যান্স আফগানিস্তান সম্পর্কে চালু ধারণাটাই বদলে দিতে পারে।
তার পর সুনীল নারাইন। ওপেনার নারাইন আমাকে বিস্মিত করে দিয়েছে। এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না কী দেখেছি। সোজা ব্যাটেই হোক বা ফ্রন্টফুটে অনসাইডে লিফ্ট করা— নারাইন কিন্তু অনেক বোলারের পরিসংখ্যান নষ্ট করে দিয়েছে এ বার। অন্য কোনও দল কিন্তু এ রকম কোনও পরীক্ষা চালানোর কথা ভাবেনি। তাদের হাতেও কিন্তু মশলা ছিল। যাঁরা কপিবুক ক্রিকেটের ভক্ত, তাঁরা নিশ্চয়ই হাসিম আমলা এবং কেন্ উইলিয়ামসনের ব্যাটিং দেখে খুশি হয়েছেন। ওরা নিজেদের মতো করে মানিয়ে নিয়েছে এবং প্রচুর রান করেছে। স্টিভ স্মিথও ফিল্ডারদের ফাঁক দিয়ে বাউন্ডারি পেয়েছে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহালির থেকে যতটা দাপট দেখা যাবে মনে করা হয়েছিল, তা যায়নি। যুবরাজ সিংহ একবার ডুবেছে একবার ভেসেছে। সমালোচকরাও সুযোগ পেয়েছে ওদের বন্দুকগুলো তাক করার। ভারতীয় দলের অনেক নিয়মিত ক্রিকেটারকে দেখেই মনে হয়েছে, লম্বা মরসুমের ধকল সম্ভবত ওরা ঝেড়ে ফেলতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy