ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য কুমড়ো আশীর্বাদ না অভিশাপ? ছবি: সংগৃহীত
বাঙালি বাড়ির অন্যতম প্রধান একটি সব্জি হল কুমড়ো। ভাজা থেকে ছক্কা হরেক রকম ভাবেই প্রচলন রয়েছে কুমড়ো খাওয়ার। কিন্তু ডায়াবিটিসের রোগীরা কি কুমড়ো খেতে পারেন? কী বলছে বিজ্ঞান?
ডায়াবিটিস রোগীরা কী খেতে পারেন আর কী খেতে পারেন না তার অনেকটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রার উপর কতটা প্রভাব ফেলে তার উপর। এই বিষয়টি সাধারণত ‘গ্লাইসেমিক লোড’ ও ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ নামক দুটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারে কতটা শর্করা রয়েছে তা মাপা হয় গ্লাইসেমিক লোডের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক লোডের মান দশের কম সেই খাবারগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে নামমাত্র। অন্য দিকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জানান দেয় যে কোনও নির্দিষ্ট একটি খাদ্য রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বাড়াতে পারে। এক থেকে একশোর মধ্যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত বেশি সেই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা তত বেশি বৃদ্ধি করে।
তবে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যেহেতু খাবারের মোট পরিমাণ নির্দেশ করে না তাই সাধারণত ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কোন খাবার কতটা উপযোগী তা বুঝতে গ্লাইসেমিক লোড অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি। কুমড়োর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭৫, যা বেশ অনেকটাই বেশি। কিন্তু কুমড়োর গ্লাইসেমিক লোড মাত্র ৩। সুতরাং অল্প কিছুটা কুমড়ো খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু বেশি পরিমাণ কুমড়ো খেলে আচমকাই বেড়ে যেতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy