প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার পরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কারও জ্বর আসছে। কারও বা মাথা ব্যথা, ক্লান্তি। কার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা বেশি হবে, বোঝা কঠিন। প্রথম টিকা নেওয়ার পরে কারও বেশি সমস্যা, তো কারও বা দ্বিতীয়টি নিয়েই হচ্ছে ভোগান্তি। কীসের ভিত্তিতে এমন শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে?
তা জানার চেষ্টা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে অনেককে। সেখানে ধরা পড়েছে, দেশে অন্তত ৩০ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে ভয় এবং উদ্বেগের কারণে। দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বের পরিস্থিতিই এমন।
সমীক্ষাটি চালিয়েছে ন্যাশনাল ‘অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোইং ইম্যুনাইজেশন কমিটি’। কমিটির সদস্যরা দেখেছেন, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ২২ জন প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেরে ভুগেছেন মূলত তা ঘিরে উদ্বেগের কারণে। সরাসরি প্রতিষেধকের কোনও প্রভাবে যে এঁদের শারীরিক অস্বস্তি হয়েছে, এমন নয়।
ভারত সরকারের এমন রিপোর্টে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে বিশ্বজুড়েই যে প্রতিষেধক সংক্রান্ত উদ্বেগ একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সমীক্ষায়। এর মধ্যে গোটা বিশ্বের ১০-১৫ শতাংশ মানুষ শুধু সূচের ভয়েই অসুস্থ হচ্ছে। তা ছাড়াও রয়েছে উদ্বেগ থেকে তৈরি হওয়া আরও কিছু শারীরিক অস্বস্তি। মাথা ব্যথা, গায়ে ব্যথা, বমি ভাব তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
উদ্বেগের কারণে কি প্রতিষেধকের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে শরীরে প্রবেশ করার পরে?
এর পুরোপুরি প্রমাণ যে পাওয়া গিয়েছে, এমন নয়। তবে উদ্বেগের কারণে প্রতিরোধশক্তি কমে। তার প্রভাব গিয়ে পড়ে প্রতিষেধকের কাজেও। ফলে কিছুটা হলেও কমই কাজ করে টিকা। এমনই মত চিকিৎসকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy