প্রতীকী ছবি।
সুঠাম, মেদহীন শরীরের গঠন কে না চায়?। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ভুল খাবারে পেট ভরানো, কায়িক শ্রম কম করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণে পেটের মেদ বাড়তে পারে হু হু করে। ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও সময় লাগে না।
ভুঁড়ি সাধারণত দু’ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনে তলপেটের অংশে মেদ জমে শক্ত হয়ে যায়। একে ‘বালজিং বেলি’ বলে। আর এক ধরনের ক্ষেত্রে সমগ্র পেটেই মেদ জমে ভুঁড়ির আকার ধারণ করে। একে ‘ব্লোটেড বেলি’ বলা হয়। বালজিং বেলির তুলনায় ব্লোটে়ড বেলি কমানো বেশি সহজ।
তবে ইচ্ছে থাকলেই উপায় বেরোয়। তার জন্য জিমে ছুটতে হয় না। খেতে হয় না মুঠো মুঠো বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট। বরং কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ধরনের ভুঁড়ি খুব সহজেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। বিপাকের হার বাড়িয়ে কী ভাবে সে সব পদ্ধতি শরীরের অযাচিত মেদ কমবে, রইল তার হদিশ।
১) পেট ভার হয়ে থাকলেও আরও বেশি করে জল পান করুন। আপনার মনে হতেই পারে পেট ভার অবস্থায় জল পান করলে অস্বস্তি আরও বাড়বে, কিন্তু জল পানের ফল হয় তার উল্টোটাই। অতিরিক্ত জল পানের ফলে?পাচনতন্ত্রে আগে থেকে জমে থাকা জল অপসরণের কাজ শুর করে দেয় এবং হজম তাড়াতাড়ি হয়। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয় না বলে শরীর জলকে অকারণে জমিয়েও রাখে না। শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। আদা ভেজানো জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু ও পাতিলেবু।
২) স্ফীত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তির আরও এক উপায় কলা খাওয়া। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা, শরীরের জল ধারণ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রন করে, পাচনতন্ত্রে থাকা সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে।
৩) যাঁদের ভুঁড়ির সমস্যা আছে তাঁরা অবশ্যই সকালের জলখাবারে প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খান। এ ছাড়া রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করুন। অন্তত খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর ঘুমতে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy