ভারতে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ছবি-প্রতীকী
বয়স বাড়লে যে সব অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে, তার মধ্যে অন্যতম কোলেস্টেরল। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, শরীরের সঠিক যত্নের অভাব— এমন কতগুলি কারণে কম বয়সেও শরীরে হানা দিচ্ছে কোলেস্টেরল। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল, এলডিএল— এই চারটি মিলেই কোলেস্টেরলের সংসার। কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য শরীরের বিপাক হার স্বাভাবিক থাকা প্রয়োজন। ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসা রাখতে পারেন বেশ কয়েকটি পানীয়তে।
কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে পারে কোন পানীয়? রইল এমন কিছু পানীয়ের খোঁজ।
টম্যাটোর রস
শরীর সুস্থ রাখতে টম্যাটো বেশ উপকারী। বিশেষ করে কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে রোজের পাতে টম্যাটো রাখতে পারেন অনায়াসে। টম্যাটোর লাইকোপেন উপাদান লিপিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের পরিমাণও কম রাখে। টম্যাটোয় আছে ফাইবার এবং নিয়াসিন, যা কোলেস্টেরলকে বশে রাখার জন্য উপযুক্ত। রান্নায় টম্যাটো ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু তার চেয়েও বেশি উপকারী হবে, যদি রোজ এক গ্লাস করে টম্যাটোর রস খাওয়া যায়।
ওট্সের শরবত
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওট্সের গুণাগুণ অনেকেরই জানা। তবে শুধু ওজন নয়, ওট্স কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে রয়েছে বিটাগ্লুক্যানস, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র হিসাবে কাজ করে। ঘরোয়া উপায়ে কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করতে ওট্সের শরবত খেতে পারেন। ওট্সের শরবত বানাতে ব্যবহার করতে পারেন সয়া দুধ।
গ্রিন টি
শরীর ঝরঝরে রাখতে অনেকেই রোজ গ্রিন টি খান। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, কোলেস্টেরলের সমস্যায় গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। এর ক্যাটাচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। একটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রায় দু’মাস রোজ গ্রিন টি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা ১৪ শতাংশ কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy