গরমকালে ঘামাচির সমস্যায় নাজেহাল? ছবি: সংগৃহীত।
গরমের ছুটিতে দুপুরবেলা ঠাকুরমার ঘরে গল্প শুনতে যাওয়া ছিল দস্তুর। গল্প শোনা যত না হত, সব ভাই-বোন মিলে সারা দুপুর ধরে হুল্লোড় হত খুব। ছোটদের মধ্যে আমিই যে হেতু ‘বড়’, তাই আমার বাড়তি একটা দায়িত্ব ছিল। ঠাকুরমা হাতে ছোট মতো একটা ঝিনুক ধরিয়ে দিয়ে বলতেন, ঘামাচি মেরে দিতে। ছোটবেলায় তো বুঝতেই পারতাম না যে, এই ‘ঘামাচি’ বস্তুটি আসলে কী? তাকে মারবই বা কী ভাবে? রহস্য উন্মোচন করতে গিয়েছিলাম ডাক্তারি পড়া পাড়ার দাদা কাছে। ভয় দেখিয়ে সে বলেছিল, ‘‘একদম ঘামাচি মারতে যাস না। ইনফেকশন হয়ে যাবে।’’ তখন সত্যিই বুঝতে পারিনি যে গরমে, ঘামে পিঠে, বাহুমূলে হওয়া ছোট ছোট জল ফোস্কার মতো ঘামাচি থেকে এত কিছু হয়ে যেতে পারে। ঘামাচির উপর বাঙালির বিখ্যাত ‘নাইসিল’ পাউডার দেওয়াও যে খারাপ তা-ও জেনেছিলাম চিকিৎসকের কাছে গিয়ে। তিনিই ঘরোয়া কিছু টোটকা দিয়েছিলেন এই ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার।
নখ দিয়ে ঘামাচি মারলে ত্বকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
১) ঠান্ডা সেঁক
ঘামাচির থেকে মুক্তি পেতে বরফের সেঁক দিতে পারেন। না হলে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জলে পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গা মুছে নিতে পারেন।
২) অ্যালো ভেরা জেল
ঘাম জমে বা তার উপর পাউডার দিলে ত্বকের ছিদ্রগুলির মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাই পাউডারের পরিবর্তে ঘাম পরিষ্কার করে তার উপর অ্যালো ভেরা জেল লাগাতে পারেন।
৩) ওটমিল বাথ
মিক্সিতে ওট্স গুঁড়ো করে নিন। স্নানের জলে এক চামচ ওটমিল গুঁড়ো দিয়ে স্নান করুন নিয়মিত। ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ বশে থাকবে।
৪) ক্যালামাইন লোশন
ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকলে বরফ সেঁক দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রাতে শোয়ার আগে ক্যালামাইন লোশন মাখলেও উপকার মিলতে পারে।
৫) নিমপাতা
হাতে সময় থাকলে একমুঠো নিমপাতা ফুটিয়ে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন। পুরো গরমকাল জুড়ে সেই জল দিয়ে স্নান করুন। ঘামাচি, র্যাশ, ব্রণ— কোনও সমস্যাই থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy