চোখ ভাল রাখতে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ। অথচ চোখের উপরেই যাবতীয় চাপ। অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা, ঘন ঘন জুম কলে মিটিং, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহার— সব ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে চোখের উপর। শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা যেমন শরীরচর্চা করতে বলেন, তেমন চোখের আলাদা করে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চোখ ভাল রাখতে কাজের ফাঁকেই চোখের বিশ্রামও জরুরি। মাঝেমাঝেই চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া প্রয়োজন। তবে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে, চোখের নীচে ফোলা ভাব কমাতে, চোখ থেকে অনবরত জল পড়ার মতো কিছু সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসেও বদল আনা জরুরি।
কোন ধরনের খাবারে ভাল থাকবে চোখ? উন্নত হবে দৃষ্টিশক্তি?
ভিটামিন এ
চোখের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান হল ভিটামিন এ। বয়স বাড়লে চোখে ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’-এর মতো সমস্যা দেখা দেয়। এটি চোখের একটি সাধারণ অসুখ। ভিটামিন এ এই ধরনের অসুখের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতেও ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দুধ, দইয়ের মতো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি।
ওমেগা থ্রি
চোখের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড হল ওমেগা থ্রি। রুই, কাতলা, ইলিশের মতো যে সব মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তা বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের খাবারে চোখের মণি ভাল থাকে। দৃষ্টিশক্তিও বাড়ে। চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাও কমে।
ভিটামিন সি
ভিটামিস সি সমৃদ্ধ ফল চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। কমলালেবু চোখের জন্য অত্যন্ত ভাল। এই ভিটামিন রক্তচলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি। চোখে রক্ত চলাচল ভাল হলে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে। চোখের প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে ভিটামিন সি অপরিহার্য।
বিটা-ক্যারোটিন
চোখ যত্নে রাখতে গাজরের মতো উপকারী জিনিস খুব কমই আছে। গাজরে উপস্থিত বিটা–ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-র জোগান দেয়। নিয়মিত গাজর খেলে চোখে সংক্রমণের আাশঙ্কাও কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy