একটি পেয়ারায়, চারটি লেবুর সমান ভিটামিন সি রয়েছে। ছবি- সংগৃহীত
শরীর ভাল রাখতে, চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই একবাক্যে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে মরশুমি ফল। অবশ্য এখন অনেক ফলই সারাবছর পাওয়া যায়, যেমন— পেয়ারা। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি পেয়ারায় চারটি লেবুর সমান ভিটামিন সি রয়েছে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ফসফরাসে ভরপুর পেয়ারা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী। যেমন—
১) রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে
২) হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে
৩) ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা লাঘব করতে
৪) পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে
৫) ওজন কমাতে সাহায্য করে
৬) ক্যান্সার প্রতিরোধক
৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে
৮) দাঁত, ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী
পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর এবং উত্তরপ্রদেশের কাশীর পেয়ারা বিখ্যাত হলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে ইদানিং তাইওয়ানের গোলাপি পেয়ারাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পুষ্টিবিদদের মতে, গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারায় জল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তুলনায় শর্করা, ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশ অনেকটাই কম। সাদা শাঁসযুক্ত পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি হলেও তা গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারার মতো নয়। ভিটামিন এ, সি, ওমেগা৩, ওমেগা৬ পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবারের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মজুত থাকায়, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য গোলাপি শাঁসযুক্ত পেয়ারা ‘সুপার ফ্রুট’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy