ধারাবাহিক ভাবে হাঁটলে শরীরচর্চা করার সমান উপকার পেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমাতে এবং সুস্থ থাকতে নিয়ম করে অনেকেই শরীরচর্চা করেন। কেউ জিমে যান। আবার কেউ বাড়িতে সময় বার করেই ব্যায়াম করেন। এ ছাড়াও সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দৌড়ঝাঁপ তো রয়েছেই। এই শরীরচর্চাগুলি নিঃসন্দেহে শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। তবে শরীরচর্চা করা বেশ পরিশ্রম সাধ্য একটি কাজ। ধৈর্য ধরে বেশ অনেক দিন করার পর তবেই মেলে সুফল। সময়ের অভাবে অনেকেরই নিয়মিত শরীরচর্চা করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু জানেন কি সারা দিনে শুধু কয়েক পা হাঁটলেই শরীর থাকবে সুস্থ। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। খুব বেশি সময় ধরে না হলেও ধারাবাহিক ভাবে হাঁটলে শরীরচর্চা করার সমান উপকার পেতে পারেন।
নিয়ম করে হাঁটলে কী কী সুফল পেতে পারেন?
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে
রোজ হাঁটলে শুধু শরীর ভাল থাকে তা নয়। ভাল থাকে মনও। হাঁটাহাঁটি করলে চাপের মাত্রা হ্রাস পায়, মেজাজ ভাল থাকে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। উদ্বেগ কমে। মন ও মস্তিষ্ক দুই-ই ভাল থাকে।
সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে
সকালে হাঁটতে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। অনেকে মিলে একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়ার একটা আলাদা সুফল আছে। আপনজন হতে পারে, প্রতিবেশী কিংবা নিজে একা হাঁটারও অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। নিজেকে আলাদা করে সময় দেওয়া হয়। ভাবনা চিন্তার বিকাশ ঘটে।
শরীর ভাল রাখতে
সুস্থ থাকতে হাঁটার স্বাস্থ্যগুণ বলাই বাহুল্য। ডায়াবিটিস, হাড়ের সমস্যা, পেশি ভাল রাখতে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে— শরীরের সার্বিক সুস্থতার লক্ষ্যে নিয়মিত হাঁটাচলা করাটা প্রয়োজন।
কতটা পরিমাণ হাঁটা প্রয়োজন?
ব্যস্তবহুল জীবনে আজকাল হাঁটার জন্য আলাদা করে সময় পাওয়া যায় না। তার উপর আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভরসা রাখতে হয় যন্ত্রের উপর। তাই হাঁটতে যাওয়ার সময় যন্ত্র থেকে দূরে থাকুন। হাঁটাতেই মনোনিবেশ করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে কত ক্ষণ হাঁটবেন সেটা নির্ভর করছে শারীরিক অবস্থার উপর। বেশ কিছু সময় হাঁটার পর যদি ক্লান্ত লাগে তাহলে জোর করে না হাঁটাই ভাল। তবে নিয়ম করে ১০-২০ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy