Advertisement
২১ মার্চ ২০২৩
Belly Fat

ভুঁড়ি বেড়ে যাচ্ছে? মেদ কমাতে জল খাওয়ার ঠিক কোন উপায়টি মেনে চলবেন?

পেটের মেদ ঝরাতে কম পরিশ্রম করেন না অনেকে। তবে সঠিক উপায়ে জল খেলে ভুঁড়ি কমবে দ্রুত।

ভুঁড়ি কমাতে পরিশ্রমের খামতি রাখেন না কেউই।

ভুঁড়ি কমাতে পরিশ্রমের খামতি রাখেন না কেউই। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৫
Share: Save:

স্বাস্থ্যকর খাবার, সময়ে খাওয়া, শরীরচর্চা— এগুলিই শরীরের যত্ন নেওয়ার শেষ কথা নয়। শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এক বাক্যে এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চুল থেকে ত্বক, শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে জল খাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।

Advertisement

শরীরে জলের পরিমাণে ৬০ শতাংশ। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে জলের জোগান বজায় রাখতে হবে। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হওয়া মানেই নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। জল খাওয়ার ফলে শুধু তেষ্টাই মেটে না, সেই সঙ্গে শরীরে জলের মাত্রা ও ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে শুধু জল খেলে হবে না, জল খাওয়ার নিয়মও জানতে হবে। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, সঠিক পদ্ধতিতে জল না খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

১) ঢক ঢক করে জল খাওয়ার অভ্যাস ভাল নয়। অথচ অনেকেই তেষ্টা পেলে ঢক ঢক করে জল খান। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে স্নায়ুও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাতেই বেড়ে যায় রক্তচাপ। এ ভাবে জল খেলে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যায়। কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঢক ঢক করে জল খেলে বুকের পেশিতেও চাপ পড়ে।

ওজন কমাতে চাইলে খাবার খাওয়ার আগেই জল খেয়ে নিতে পারেন।

ওজন কমাতে চাইলে খাবার খাওয়ার আগেই জল খেয়ে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত

২) চুমুক দিয়ে অল্প অল্প করে জল খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। খাওয়ার সময়ে কে কখন জল খাবেন, তা ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন হয়। অর্থাৎ, বিভিন্ন মানুষের জল খাওয়ার সময় ভিন্ন। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী জল খাওয়ার সময় ঠিক করা জরুরি। হজমের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের খেতে খেতে জল খাওয়া ঠিক নয়। বরং খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর জল খেতে পারেন। এতে খাবার আরও ভাল ভাবে হজম করতে সাহায্য করে। আবার ওজন কমাতে চাইলে খাবার খাওয়ার আগেই জল খেয়ে নিতে পারেন। তাতে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। কমবে ভুঁড়িও।

Advertisement

৩) ফ্রিজের ঠান্ডা জল কখনওই খাওয়া উচিত নয়। ঠান্ডা জল শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত চলাচল করতে বাঁধা দেয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং ব্যথা দূর করতে গরম জল দারুণ কার্যকর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.