ওজন: বিশেষজ্ঞদের মতে, এই একটি বিষয়কে কিছুতেই নজরে রাখি না আমরা। খুব কম বা খুব বেশি ওজন, দু’টিই কিন্তু প্রজনন ক্ষমতার পক্ষে বড় বালাই। উচ্চতা অনুযায়ী তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ দরকার। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করুন, শরীরচর্চা শুরু করুন।
খাদ্যাভ্যাস: সময়ে খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুম, শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মানের উপর প্রভাব ফেলে। বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার রাখুন পাতে। যেমন, আমন্ড, কলা, রসুন, মরসুমি ফল শাক-সব্জি, প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। মরসুমি ফলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যেমন এই প্রতিবন্ধকতা কমায়, তেমনই দই, দুধ জাতীয় খাবারের ভিটামিন ই-ও এই সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বদলে ফেলুন সেই অভ্যাস!
শরীরচর্চা: নিয়মিত ব্যায়াম যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করবে, তেমনই শরীরের পুরুষ হরমোনগুলির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। সব সময়ে যে জিমে যেতেই হবে এমনটা নয়, বাড়িতেও করতে পারেন কসরত।
পর্যাপ্ত ঘুম: রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। রাত জাগার অভ্যাসও কিন্তু বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম শুক্রাণুর গুণগত মান ও যৌন চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকের পরামর্শ: কেবল বন্ধ্যত্বের জন্য চিকিৎসকের শরণ নেওয়াই নয়, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে উপযুক্ত চিকিৎসা করানো দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নিয়ম মেনে সে সব আয়ত্তে রাখতে পারলে যৌনজীবনও সুখের হবে।