বিশেষজ্ঞদের দাবি, সন্ধ্যার পর ও গভীর রাতে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো সামগ্রী ব্যবহার করলে ক্ষতি হয় শুক্রাণুর। এই ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পর্দা থেকে নির্গত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণই এর জন্য মূলত দায়ী বলে মত তাঁদের। এর প্রভাব এতই নেতিবাচক যে এর ফলে শুক্রাণুর গতিবেগ, ঘনত্ব ও গঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই বৈদ্যুতিক সামগ্রীগুলির থেকে নির্গত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো যত বেশি ক্ষণ ধরে চোখে যায়, ততই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শুক্রাণু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবও এই সমস্যার অপর একটি কারণ। আলোকপটির নীল রঙের দিকের রশ্মিগুলি মেলাটোনিন ক্ষরণ হ্রাস করে। যা ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়। ফল স্বরূপ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সন্তানধারণের ক্ষমতার উপর। এই ধরনের বিকিরণের ফলে যে ক্ষতি হয়, তা অনেক সময় জিনগত পরিবর্তন যা কার্যত একমুখী। অর্থাৎ এক বার ক্ষতিগ্রস্থ হলে আর সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে না।