Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৩
Foods for Six Months Old baby

শিশুর ছ’মাস পূর্ণ হতেই শক্ত খাবার দেবেন? কী কী খাওয়ানো শুরু করতে পারেন?

ছ’মাসের পর থেকে শিশুকে দুধের সঙ্গে অন্য খাবারও খাওয়ানো যেতে পারে। কিন্তু কী খাওয়াবেন? পরামর্শ দিলেন শিশু চিকিৎসক।

Symbolic Image.

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ২১:৪৪
Share: Save:

শিশুর জন্মের পর কয়েক মাস স্তন্যপানের কোনও বিকল্প হয় না। প্রথম ছ’মাস স্তন্যদুগ্ধ ছাড়া আর অন্য কোনও খাবার খাওয়াতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। কারণ শিশুর শারীরিক গঠনে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন স্তন্যদুগ্ধ। শুধু তো শরীর নয়, কত তাড়াতাড়ি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ হবে, তা-ও নির্ভর করে স্তন্যপানের উপর। কিন্তু এখন অধিকাংশ মা-ই কর্মরতা। দিনের একটি বড় সময়ে সন্তানের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। ফলে সদ্যোজাতকে বুকে জড়িয়ে স্তন্যপান করানোর সুযোগ কম পান অনেকেই। সে কারণে শিশুর বয়স ছ’মাস হওয়ার আগেই অন্য খাবার খাওয়াতে শুরু করেন। এর ফলে মায়েদের চিন্তা হয়তো খানিক কমে, কিন্তু শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষা হয় কি? শিশু চিকিৎসক স্বপন চক্রবর্তী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘শিশু ছ’মাসে পা দেওয়ার আগে কোনও ভাবেই স্তন্যদুগ্ধ ছাড়া অন্য কোনও খাবার খাওয়ানো ঠিক হবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও না। শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত স্তন্যদুগ্ধ যাচ্ছে কি না, তা বোঝার উপায় আছে। সারা দিনে শিশু যদি ৭-৮ বার মূত্রত্যাগ করে, তা হলে বুঝতে হবে স্তন্যপানের পরিমাণ ঠিকই রয়েছে। তবে ছ’মাস পেরিয়ে গেলে একটু একটু করে অন্য খাবার খাওয়ানো যেতে পারে। অনেক মায়েরই চাকরির কারণে বাইরে বেরোতে হয়। ফলে অন্য খাবার খাওয়ানো ছাড়া সত্যিই কোনও উপায় থাকে না।’’

কিন্তু একরত্তি শিশুকে কী খাওয়ানো যেতে পারে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। কোন খাবারগুলি খেলে শিশুর শরীর সুস্থ থাকবে, তা খুঁজে বার করা সহজ নয়। তবে কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলি ছ’মাসের শিশুকে অনায়াসে খাওয়ানো যেতে পারে।

পাতলা খিচুড়ি

ডাল, চাল, বিভিন্ন রকম সব্জি দিয়ে প্রেশারে খিচুড়ি বানিয়ে নিন। তবে মাথায় রাখবেন সেই খিচুড়ি যেন জমাট বেঁধে শক্ত না হয়ে যায়। একদম পাতলা জলের মতো খিচুড়ি হতে হবে। যাতে শিশুর গিলতে কোনও কষ্ট না হয়। কোনও রকম মশলাপাতি একেবারে দেবেন না। সামান্য হলুদ, নুন দিয়ে বানাতে হবে এই খিচুড়ি।

ডালের জল

বাড়িতে ডাল রান্না হয়েছে। সেখান থেকে ডালের জল তুলে ছ’মাসের শিশুকে খাওয়ানোর ভুল একেবারেই করবেন না। শিশুর জন্য আলাদা করে মুসুর ডাল রাঁধুন। উপরের জলটা তুলে খাওয়াতে পারেন। শিশুর বিকাশ দ্রুত হবে।

ওট্‌স

প্রথম ব্লেন্ডারে ওট্‌স গুঁড়িয়ে নিন। তার পর দুধের সঙ্গে জ্বালিয়ে একটি পাতলা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। দেখবেন যেন খুব বেশি ঘন না হয়ে যায়। একেবারে পাতলা হতে হবে। এই খাবারটির শিশুর জন্য খুবই উপকারী।

ব্রকোলি সেদ্ধ

ব্রকোলি উপকারী পুষ্টিগুণে ভরপুর। একরত্তি শিশুর জন্যই সমান উপকারী এই সব্জি। ব্রকোলি প্রথমে সেদ্ধ করে নিন। তার পর সেদ্ধ ব্রকোলিগুলির মধ্যে গরমজল ঢেলে চটকে নিন। সেই মিশ্রণটি শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

তবে সব খাবার সব শিশু খেতে পারে না। তাই চিকিৎসক বলেন, ‘‘খাওয়ানো শুরু করার আগে এক বার শিশুর মুখে খাবারটি দিয়ে দেখুন। যদি দেখেন শিশু কান্নাকাটি কিংবা কোনও নেতিবাচক আচরণ করছে না, তা হলে বুঝতে হবে খাবারের স্বাদ শিশুর পছন্দ হয়েছে। আর যদি দেখেন যে খাবার জিভে ঠেকাতেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে, তা হলে সেই খাবার না খাওয়ানোই ভাল।’’ চিকিৎসক জানাচ্ছেন, আমিষ প্রোটিনের মধ্যে ডিমের সাদা অংশ অল্প খাওয়ানো যেতে পারে। তবে প্রতি দিন নয়। তিনি বলেন, ‘‘যে খাবারই খাওয়ান, পাতলা করেই খাওয়ানো ভাল। তাতে গলায় বেঁধে যাওয়ার ভয় থাকে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE