এই রোগে প্রবল ব্যথা হয় তলপেটের ডান প্রান্তে। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাপেনডিসাইটিসের চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের হদিশ দিলেন ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা। একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেই রোগীকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা, প্রয়োজন হয়নি অস্ত্রোপচারের।
মানুষের বৃহদন্ত্রের একটি অংশ হল সিকাম। এই সিকামে অ্যাপেনডিক্স নামের একটি আঙুলের মতো উপবৃদ্ধি দেখা যায়। বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ, খাদ্যের অংশ ঢুকে যাওয়া প্রভৃতি কারণে এতে প্রদাহ দেখা দিতে পারে, ক্ষেত্র বিশেষে এটি ফুলে ওঠে ও পুঁজ জমে যায়। ফলে প্রবল ব্যথা হয় তলপেটের ডান প্রান্তে। এই উপসর্গের নামই অ্যাপেনডিসাইটিস।
বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা বিশ্বে উদর সংক্রান্ত সব ধরনের অস্ত্রোপচারের মধ্যে অ্যাপেনডিসাইটিসের অস্ত্রোপচারই সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। এত দিন এই রোগে অন্য কোনও ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির কথা জানা ছিল না। তাই অস্ত্রোপচার ছাড়াই যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে এই রোগ, তবে তা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবশ্যই এক বড়সড় অগ্রগতি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যাপেনডিসাইটিসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর সিটি স্ক্যান বা সমতুল্য কোনও পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ কতটা জটিল, প্রাথমিক ভাবে সেটি যাচাই করা প্রয়োজন। যদি অস্বাভাবিক কোনও লক্ষণ না দেখা যায় তবে অস্ত্রোপচারের কথা না ভেবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেই মিলতে পারে ভাল ফল।
তবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ভাল ফল মিললেও এখনই অ্যাপেনডিসাইটিস নিরাময়ে একে চুড়ান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি বলতে নারাজ গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সাময়িক স্বস্তি মিললেও শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। কাজেই রোগের প্রাবল্য ভেদে ভিন্ন হতে পারে চিকিৎসা পদ্ধতি। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্তই প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy