মূত্রথলির সমস্যায় ভোগা সত্ত্বেও চিকিৎসকের কাছে যান না বহু মানুষ। —ফাইল চিত্র
অনেক সময়ে মূত্রথলির সমস্যায় ভোগা সত্ত্বেও চিকিৎসকের কাছে যান না বহু মানুষ। কারও কারও ক্ষেত্রে তার কারণ লোকলজ্জা। কারও কারও ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব। চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, সময় থাকতে সাবধান হলে বহু ক্ষেত্রেই ক্যানসার হওয়ার পরেও দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকতে পারেন রোগী।
কেন হয় এই অসুখ?
ঠিক কেন ক্যানসার হয়, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। মূত্রথলি বা ব্ল্যাডারের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু কিছু কিছু বদ অভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ধূমপান
তামাক যে ভাবেই শরীরে যাক না কেন, তা ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। মূত্রথলির কর্কট রোগের অন্যতম ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ ধূমপান। তামাকের নেশা মুত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি অধূমপায়ীদের থেকে ৪-৭ গুণ বেশি।
বয়স
বয়স যত বাড়ে, ক্যানসারের আশঙ্কাও তত বাড়ে। কোন বয়সে এই ক্যানসার হবে, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৫৫ উত্তীর্ণদের মধ্যে ব্ল্যাডার ক্যানসার বেশি দেখা যায়।
জলের সমস্যা
আর্সেনিকযুক্ত জল পান করলেও মূত্রথলির ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই ক্যানসারের প্রবণতা প্রায় ৪ গুণ বেশি। তা ছাড়া, বার বার প্রস্রাবের সংক্রমণ হলে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উপসর্গ
অন্যান্য অসুখের মতো শুরুতে চিকিৎসা করালে ব্ল্যাডার ক্যানসারের বাড়বৃদ্ধি আটকে দিয়ে রোগীকে প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়। তবে তার জন্যে শুরুতেই সতর্ক হতে হয়।
কোন উপসর্গ দেখলে সাবধান হবেন?
১। বার বার প্রস্রাব পায়।
২। রাতে বহু বার প্রস্রাবের বেগ আসে, কিন্তু প্রস্রাব হয় না, আটকে যায়।
৩। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখা যেতে পারে বা কালচে প্রস্রাব হতে পারে ও জ্বালা করে।
৪। এক দিকের কোমরে ব্যথা হতে পারে।
অনেকটা প্রস্টেটের অসুখের মতোই উপসর্গ। প্রৌঢ়রা অনেক সময়ে ব্ল্যাডার ক্যানসারকে প্রস্টেটের সমস্যা ভেবে খুব একটা আমল দেন না। এর ফলে রোগ ক্রমশ বেড়ে যায়। ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকলে রোগের শুরতেই ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো উচিত।
অসুখ শুরুতে ধরা পড়লে সার্জারি, রেডিয়োথেরাপি ও কেমোথেরাপি করে ব্ল্যাডার ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্ল্যাডার বাদ দিয়ে কৃত্রিম ব্ল্যাডার তৈরি করে প্রতিস্থাপন করা হয়। তাই সময় থাকতেই এই সাবধান হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy