Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল

নিয়ম ভেঙে ইউএসজি মাত্র দু’দিন

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ছয়দিন আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিত্‌সকের অভাবে এক মাস বন্ধ ধরে তা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি তা চালু হয়েছে। তবে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন তা হচ্ছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীরা বেসরকারি প্যাথলোজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে বাধ্য হচ্ছেন।

গৌর আচার্য
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৩
Share: Save:

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ছয়দিন আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিত্‌সকের অভাবে এক মাস বন্ধ ধরে তা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি তা চালু হয়েছে। তবে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন তা হচ্ছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে।

প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীরা বেসরকারি প্যাথলোজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতাল সুপার অনুপ হাজরা জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রসূতি ও রোগীদের আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা দেওয়ার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র রেডিওলজিস্ট গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে চলে যাওয়ায় এক মাস পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তাঁরা। গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেডিওলজিস্ট তথা হাসপাতালের প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্‌সক উত্‌পল পাঁজাকে দিয়ে সপ্তাহে দু’দিন চালু করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাসবিহারী দত্তের দাবি, শীঘ্রই সমস্যা মিটবে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন ও বহির্বিভাগে চিকিত্‌সা করাতে যাওয়া প্রসূতি ও রোগী মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জনেরও বেশি পুরুষ ও মহিলাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্‌সকেরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা দেওয়ার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। প্রসূতি ও রোগীদের অভিযোগ, রেডিওলজিস্ট না থাকায় ২৪ ডিসেম্বর থেকে টানা একমাস হাসপাতালে ওই পরিষেবা বন্ধ ছিল। রায়গঞ্জের উকিলপাড়া একটি বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির কর্ণধার জানান, হাসপাতালে ওই পরিষেবা না মেলায় তাঁদের কাছে ভিড় রোজই বাড়ছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগের চিকিত্‌সকেরা আলট্রাসোনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন হেমতাবাদ ও ইটাহার এলাকার বাসিন্দা সামিনা বেগম, মালা বর্মন সহ অনেক প্রসূতিকে। সামিনা ও মালা জানান, তাঁরা বিড়ি শ্রমিক ও দিনমজুরের কাজ করেন। বাইরের একটি ল্যাবরেটরি থেকে একেক জন ৮০০ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা করাতে বাধ্য হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE