রক্তের রিপোর্টে গ্রুপ-বিভ্রাট, অভিযুক্ত ক্লিনিক

এ যেন ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল!

রোগিণী জানতেন, তাঁর রক্তের গ্রুপ ‘ও পজিটিভ’। বাইরের ক্লিনিক থেকে করা রক্ত পরীক্ষাতেও তা-ই ছিল। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করতেই গ্রুপ হয়ে গেল ‘এবি পজিটিভ’। তবে এখানেই শেষ নয়। রিপোর্ট নিয়ে হইচই হতেই তা বদলে ফিরল ‘ও পজিটিভ’-এই!

শুক্রবার ঘুসুড়ির টি এল জায়সবাল হাসপাতালে ভর্তি এক অন্তঃসত্ত্বার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ঘিরে এমন ‘ভুল’ প্রকাশ্যে আসতেই হইচই বাধে। সুপার সুখেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরীক্ষাটি করেছে বাইরের ক্লিনিক। তাই আমাদের কিছু করার নেই। তবে ওদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। তাই ভারতের ক্লিনিক্যাল আইন অনুযায়ী ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘হাসপাতালের সুপার বিষয়টি জানিয়েছেন। সবিস্তার রিপোর্ট পাওয়ার পরে তদন্ত করে সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ভট্টনগরের বাসিন্দা প্রতিমা দাস (২২) নামে ওই তরুণী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতিমা জানান, প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে সালকিয়ার এক বেসরকারি ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষায় জানা গিয়েছিল তাঁর গ্রুপ ‘ও পজিটিভ’। নভেম্বরে জায়সবাল হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে দেখাতে যান প্রতিমা। তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর সকালে হাসপাতালের ১৪ নম্বর ঘরে রক্ত পরীক্ষা হয় তাঁর।

প্রতিমার অভিযোগ, ২৮ নভেম্বর হাসপাতালে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট পেয়ে দেখা যায় গ্রুপ বদলে ‘এবি পজিটিভ’ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। তাই এই রিপোর্ট পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম।’’ এর পরে ১ ডিসেম্বর সকালে ওই বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে বিষয়টি জানান প্রতিমা। এমনকী আগে অন্যত্র করা রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্টও দেখান। ওই তরুণী জানান, এর পরে ওই দিনই ফের তাঁর রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এ দিন তারই রিপোর্ট আসে ‘ও পজিটিভ’।

স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, জরুরি ভিত্তিতে প্রতিমার অস্ত্রোপচার করতে হলে রক্তের প্রয়োজন হতো। সে ক্ষেত্রে ভুল রিপোর্ট অনুযায়ী ‘এবি পজিটিভ’ রক্তই দেওয়া হতো। তাতে তাঁর জীবনহানিও হতে পারত। ওই বেসরকারি ক্লিনিকের অধিকর্তা চিকিৎসক কৃষ্ণেন্দু পয়রা বলেন, ‘‘জায়সবাল হাসপাতালের সুপার বিষয়টি জানিয়েছেন। এমন মারাত্মক ভুল কেন হল খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

স্মারকলিপি। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতি ঠেকানো, বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের চেক বিলি-সহ সাত দফা দাবিতে হাওড়ার শ্যামপুরের বাছরি পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। প্রধান না থাকায় স্মারকলিপি পঞ্চায়েত সচিবের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা আতিয়ার রহমান অবিলম্বে দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রধান তৃণমূলের কান্তা মান্না এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।