হাসপাতালে বিক্ষোভ। ছবি: কৌশিক সাহা।
হাসপাতালের হাল ফেরানোর দাবিতে এলাকার শ’খানেক লোকজন শনিবার দিনভর বিক্ষোভ দেখালেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভারপ্রাপ্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ দিন সকাল থেকে লোকজন ভরতপুর-১ ব্লক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের আবাসনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
তাঁদের দাবি, হাসপাতালে ন্যূনতম পরিষেবাটুকু জোটে না। কথায় কথায় রেফার করা হয় কান্দির হাসপাতালে। বিক্ষোভাকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘‘বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোনও সাড়়া মেলেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছি।’’ পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করলেও দিনভর চলে বিক্ষোভ। শেষমেশ রাতের দিকে বিক্ষোভ ওঠে। বিক্ষোভকারীরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পঙ্কজ ব্যাপারীরও পদত্যাগের দাবি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, যে আধিকারিক সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট নন, তাঁর পদে থাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে চিকিৎসক থাকার কথা পাঁচ জন। কিন্তু রয়েছেন দু’জন। নার্স থাকার কথা ১০ জন। রয়েছেন ছ’জন। তার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। দশ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী থাকার কথা। রয়েছেন মাত্র ৬ জন। সাফাইকর্মী রয়েছেন সাকুল্যে একজন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তাকে বহুবার নতুন চিকিৎসক দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ কোনও কথাই শোনেননি। পঙ্কজবাবু এ দিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমার ক্ষমতার মধ্যে হাসপাতালের উন্নতির জন্য যা করার তা করেছি।’’
কান্দির মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ভাস্বর বৈষ্ণব বিক্ষোভকারীদের দাবিকে সঙ্গত বলে মনে করেন। তিনি বলেন, “জেলাজুড়েই চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্কট রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই ওই হাসপাতালেও স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি। যা পদক্ষেপ করার উনিই করবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy