Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
বসছে আধুনিক যন্ত্রপাতি

মডেল গ্রামীণ হাসপাতাল হতে চলেছে আমতা

নবজাত মুমুর্ষু শিশুদের চিকিৎসার জন্য সিক নিউ বর্ন স্টেবিলাইজিং ইউনিট তো ছিলই, এ বার মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (চিকিৎসকদের মতে যেটা সিসিইউ-এর আগের ধাপ) চালু হতে চলেছে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী মাসেই এর উদ্বোধনে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

মনিরুল ইসলাম
আমতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ০১:২৩
Share: Save:

নবজাত মুমুর্ষু শিশুদের চিকিৎসার জন্য সিক নিউ বর্ন স্টেবিলাইজিং ইউনিট তো ছিলই, এ বার মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (চিকিৎসকদের মতে যেটা সিসিইউ-এর আগের ধাপ) চালু হতে চলেছে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী মাসেই এর উদ্বোধনে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ব্যবস্থা থাকছে ভেন্টিলেটরের। বসানো হচ্ছে মুমুর্ষু রোগীর হৃদস্পন্দন মাপার যন্ত্র, রক্তে অক্সিজেন-সহ অন্যান্য গ্যাসের মাত্রা মাপক যন্ত্র। এ ছাড়াও থাকছে কার্ডিয়াক মনিটর সহ নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি। এই ইউনিট চালু হয়ে গেলে রোগীরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুবিধা আমতা গ্রামীণ হাসপাতালেই পাবেন বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলে পশ্চিম দিকের চারটি কামরা ও একটি হলঘর নিয়ে এইচডিইউনিট করা হচ্ছে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ প্রায় শেষ লগ্নে। অক্সিজেন সরবরাহের লাইন তৈরিরও কাজ চলছে। এ ছাড়া ৮০ শয্যার এই গ্রামীণ হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। নিয়োগ করা হয়েছে চিকিৎসক, নার্স। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এইচডিইউ-এর চিকিৎসকদের কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ এবং এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। রোগীদের সুবিধার্থে লিফটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্তর্বিভাগের জন্য ঘরের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার জায়গাও।

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবশঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘এইচডিইউ তৈরির জন্য খরচ হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতিতে আরও ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বিধায়ক নির্মল মাজির বিশেষ উদ্যোগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের টাকায় কাজ হচ্ছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, জেলায় গ্রামীণ হাসপাতাল হিসাবে আমতার এই হাসপাতালেই বিশেষ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। আগামী দিনে আরও উন্নত করা হবে। বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, ‘‘শীঘ্রই পিপিপি মডেলে ল্যাবরেটরি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, ডিজিটাল এক্স-রে’র ব্যবস্থা করা হবে। ব্যবস্থা হয়েছে পানীয় জল, শৌচালয়ের। আমতা গ্রামীণ হাসপাতালকে ‘মডেল’ গ্রামীণ হাসপাতাল হিসাবে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।’’

জেলার মধ্যে হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে উপরের সব ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামীণ হাসপাতাসল হিসাবে আমতাতেই তা প্রথম চালু করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে প্রায় সব শয্যাই ভর্তি থাকে। বহির্বিভাগেও রোজ সাত-আটশো রোগী আসেন চিকিৎসা করাতে। আমতা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতির পিছনে এর অবস্থানগত দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। আমতা ১ ও ২ , উদয়নারায়ণপুর, উলুবেড়িয়া ও পাঁচলা ব্লকের প্রচুর মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। এর ফলে তাঁরা উপকৃত হবে। তবে চিকিৎসক, নার্স, গ্রুপ ডি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মীর সংখ্যা এখনও পর্যাপ্ত নয়। অভাব রয়েছে, চোখ, ইএনটি, অস্থি বিশেষজ্ঞের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE