কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির করণে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকালে মহিলার বাড়ির লোক বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন। ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। বনগাঁ থানার আইসি নন্দনকুমার পানিগ্রাহী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনার পরে প্রসূতির বাড়ির পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার বেড়ি গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা রিক্তা মোল্লা (২০) বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। মৃতার ভাই রাকেশ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘বাচ্চা জন্মানোর কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসকেরা জানান, দিদির রক্তরক্ষণ হচ্ছে। রক্ত দিতে হবে। সে সময়ে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ঘরে তালা দেওয়া ছিল। ব্লাড ব্যাঙ্কের টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরে ফোন করলে তিনি জানান, স্নানখাওয়া করে যাবেন। বেশ কিছু ক্ষণ পরে রক্ত যখন দিদিকে দেওয়া হল, তারপরেই দিদি মারা যায়।’’ রাকেশের আক্ষেপ, ‘‘সময়ে রক্ত দিতে পারলে দিদি হয় তো মরত না।’’ এই ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের পক্ষে জানানো হয়েছে, রক্তের প্রয়োজন জানার সঙ্গে সঙ্গেই ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক দ্রুত হাসপাতালে এসে রক্তের ব্যবস্থা করেন। পৌনে ৯টার সময়ে প্রসূতির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ৯টা ১০ মিনিটে ‘অন কল’ চিকিৎসক আসেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখেন তিনি। পরে সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক গোপাল পোদ্দার বলেন, ‘‘ওই প্রসূতিকে বাঁচানোর চেষ্টা হলেও বাঁচানো যায়নি। গাফিলতি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy