অস্ত্রোপচারের মাঝপথে যন্ত্র খারাপ হলে রোগীকে ওই অবস্থায় ফেলে রাখা এবং অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া নিয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাল রোগীর পরিবারের লোকেরা।
ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির এসএফ রোডের ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের তরফে এখনও কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় রোগীর পরিবারের তরফে এ দিন স্বাস্থ্য দফতরেও অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “অভিযোগ বিস্তারিত খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইতিমধ্যেই বিষয়টি জেনে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নিদের্শ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। গত ১২ মার্চ ধূপগুড়িতে গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হন তাপস সাহা নামে ওই রোগী। তাঁর মাথায় এবং কোমরে চোট লাগে। পরিবারের অভিযোগ, শিলিগুড়ির এসএফ রোডের ওই নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। হিপবোনে চিকিৎসার সময় যন্ত্রাংশ খারাপ হলে মাঝপথেই অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দিতে হয়। যন্ত্র ঠিক না হলে অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে চিকিৎসক জানালে উদ্বেগে পড়েন পরিবারের লোকেরা। কেন না অস্ত্রোপচারের মাঝপথে রোগীকে ওই অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। ওই অবস্থায় অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চাইলেও রোগীকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ছাড়তে চাননি বলে অভিযোগ।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান, যন্ত্র ঠিক করে পরের দিন চিকিৎসা হবে। নার্সিংহোমের কর্ণধার মলয় চক্রবর্তীর সঙ্গে রোগীর পরিবারের লোকেরা কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকেরা এর পর পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। নার্সিংহোমের কর্ণধার মলয় চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেছেন, রোগীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা বলার কোনও ব্যাপার ছিল না। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকই তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ঠিক ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy