সোয়াইন ফ্লু ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা নিয়ে সোমবার সকালেই বিধানসভায় আলোচনা করেছিলেন। বিকেল হতে না হতে গুজরাতের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শঙ্কর চৌধুরি জানতে পারলেন, তিনি নিজেই সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত। আপাতত গাঁধীনগরে তাঁর বাড়িতেই ‘আইসোলেশন রুম’ তৈরি করে চিকিৎসা হচ্ছে শঙ্করের। কিছু দিন আগে গুজরাত বিধানসভার স্পিকার গণপৎ ভাসাভার রক্তেও এইচ১এন১ ভাইরাস ধরা পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত শুধু গুজরাতেই ২১৯ জন সোয়াইন ফ্লুয়ে মারা গিয়েছেন। গোটা দেশে সংখ্যাটা ৮৭৫।
রোগটা নিয়ে গুজরাত সরকার যথাযথ তৎপরতা দেখাচ্ছে না বলে কংগ্রেস বার বার খোঁচা দিচ্ছিল বিজেপিকে। কংগ্রেসের বিধায়ক তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী শক্তিসিংহ গোহিল বলেন, “সোয়াইন ফ্লু এখন মহামারীর আকার নিয়েছে। তা-ও সরকার একে মহামারী ঘোষণা করতে রাজি নয়।” তাঁর আরও অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ওষুধপত্র থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী সব কিছুরই বড় আকাল। মুখে স্বীকার না করলেও পরিস্থিতি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তা এক রকম স্পষ্ট করে দিয়েছে আমদাবাদ-প্রশাসন। সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণ রুখতে এ দিন ১৪৪ ধারা জারি করে প্রকাশ্য জমায়েতে বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে সেখানে। রোগ নিয়ন্ত্রণে এমন ভাবে ১৪৪ ধারা জারি করার দৃষ্টান্ত বড় একটা মনে করতে পারছেন না কেউ। সে দিক থেকে এমন সিদ্ধান্ত সব অর্থেই চিন্তাজনক।
শুধু গুজরাত কেন, গোটা দেশেই যে সোয়াইন ফ্লু-র তাণ্ডব বাড়ছে তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এ দিনের বিবৃতির পর আরও স্পষ্ট হয়েছে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে ১৫,৪১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। তবে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা আশার কথা জানিয়েছেন। তা হল, ২০০৯ সালে যে এইচ১এন১ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল, সেই ভাইরাসের কোনও জিনগত পরিবর্তন হয়নি এ বার। ফলে পুরনো ওষুধ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy