জ্যোতিষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মনুষ্য জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রের সাফল্যের সঙ্গে গানের জগতের সাফল্য সম্ভাবনাও বিচার করা যায়। সুর প্রকৃতপক্ষে প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত। পাতার মর্মর, ঝরনার কলধ্বনি, নদীর কলনাদ, পাখীর কাকলি- প্রকৃতির এই সবই যেন সুরে বাঁধা। বিশ্বপ্রকৃতির যাবতীয় নিয়মে সাধিত হয়। প্রকৃতির এই শাশ্বত নিয়মটিকে খুঁজে বার করাই হল জ্ঞানের সাধনা, বিজ্ঞানের সাধনা। জ্যোতিষও তার স্বকীয় পদ্ধতিতে তাই করে। স্বর কোথায় সুরে রূপান্তরিত হবে, জ্যোতিষ শাস্ত্র তারও কতকগুলো সাধারণ সূত্র আবিষ্কার করেছে।
এখন দেখে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মানুষের সঙ্গীত প্রতিভার ক্ষেত্রে জন্মকুণ্ডলীতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান কী রূপ হওয়া জরুরি—
১। জন্মকুণ্ডলীতে বুধ উচ্চস্থ অবস্থায় পঞ্চম ভাবে রবির সঙ্গে বিরাজ করে যদি বৃহস্পতি কর্তৃক পূ্র্ণ প্রভাবিত থাকে এবং লগ্নপতি স্বয়ং শুক্র যদি কেন্দ্রে বিরাজ করে দশম ভাবকে প্রভাবিত করে, তা হলে জাতক সঙ্গীত ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে।
২। জন্মকুণ্ডলীতে বৃহস্পতি যদি পঞ্চম অথবা চতুর্থ ভাবে বিরাজ করে এবং শুক্র যদি স্বক্ষেত্র অথবা উচ্চাবস্থায় থাকে, তা হলে জাতক চলচ্চিত্র জগতে গীতিকার রূপে প্রসিদ্ধি লাভ করতে পারে।
৩। কুণ্ডলীর চতুর্থ ভাবে যদি শুক্র অধিষ্ঠিত থাকে এবং ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ ভাবে যদি চন্দ্রের অবস্থিতি না থাকে, তা হলেও জাতক গায়ক হয়।
৪। জন্মকুণ্ডলীর লগ্নে চন্দ্রের সঙ্গে বুধের বিরাজ এবং সপ্তমে মঙ্গলের অধিষ্ঠান থাকলে জাতক চলচ্চিত্র জগতের গায়ক হতে পারে।
৫। জাতকের কুণ্ডলীতে লগ্নে শুক্র এবং চন্দ্র থাকলে জাতক গায়ক হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy