Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রত্ন শোধনের বিশেষ নিয়ম গুলি জেনে নিন

আয়ুর্বেদাচার্য বাগভট্ট রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধনের উল্লেখ করেছেন। চুনি বা মাণিক্য শোধন করা হয় অম্লদ্রব্য বা লেবুর রসে।

পার্থপ্রতিম আচার্য
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০০
Share: Save:

পারিজাত নামক গ্রন্থে রবির জন্য মাণিক্য, চন্দ্রের জন্য মুক্তা, মঙ্গলের জন প্রবাল, বুধের জন্য পান্না(মরকত), বৃহস্পতির জন্য পোখরাজ( পুষ্পরাগ), শুক্রের জন্য হীরক, শনির জন্য নীলা, রাহুর জন্য গোমেদ ও কেতুর জন্য বৈদূর্যমণির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পারিজাত গ্রন্থের মত অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কারণ গ্রহগুলির বর্ণ বিশ্লেষণের সঙ্গে এই রত্ন প্রয়োগের যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ যে যে গ্রহের অশুভ ফল হবে, সেই সেই গ্রহের নির্দিষ্ট রত্ন সেই সেই রত্নের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি বিদ্বান ব্রাহ্মণকে দান করার পর নিজে ধারণ করে থাকেন তার প্রতি সেই সেই গ্রহই অনুকূল ফলদান করে। আয়ুর্বেদাচার্য বাগভট্ট রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধনের উল্লেখ করেছেন। এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন শোধন কী ভাবে করা যায় ?
জেনে নিন রত্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্র ঠিক কী কথা বলছে -
১। চুনি বা মাণিক্য শোধন করা হয় অম্লদ্রব্য বা লেবুর রসে।
২। মুক্তা শোধন করা হয় জয়ন্তী পাতার রসে।
৩। প্রবাল শোধন করা হয় ক্ষার জলে।
৪। পান্না শোধিত হয় গরুর দুধে(খাঁটি কাঁচা দুধ)।
৫। পুষ্পরাগ বা পোখরাজ শোধিত হয় কুলত্থকলাই সিদ্ধ জলে কাঁজি মিশিয়ে।
৬। হীরক শোধন করা হয় কাঁটা নটের রসে।
৭। নীলা শোধিত হয় নীলকণ্ঠ ফুল গাছের রসে।
৮। গোমেদ শোধন করা হয় গোরোচনা মিশ্রিত জলে।
৯। ক্যাটসআই শোধিত হয় ত্রিফলা থেঁতো করে ভিজিয়ে রেখে সেই জলে। ত্রিফলা হল হরিতকী, আমলকী ও বহেড়া।
সাধারণত তিন ঘন্টা থেকে চব্বিশ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে ‘দোলাযন্ত্রে পাক’ করলে রত্ন শোধিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE