প্রত্যেক মানুষের জীবনেই গ্রহের কুপ্রভাব থাকে। কখনও কখনও খুব খারাপ সময়ের মধ্যে কাটাতে হয়। কিছু না কিছু সমস্যা সকলের জন্মছকেই থাকে, কারও কম কারও বেশি। বিশেষ করে ন’টি গ্রহের মধ্যে যে সমস্ত পাপ গ্রহ আছে তাদের দশাকাল বা অন্তর্দশা কালে যদি সেই গ্রহের কুপ্রভাব থাকে তবে মানুষের জীবনে অনেক দুঃখ-দুর্দশা এসে উপস্থিত হয়। আমরা যে সব দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণ করি তার মধ্যে থেকেই আমরা সাধারণ কিছু নিয়মের মাধ্যমে অনায়াসেই কিছুটা গ্রহদোষ উঠতে পারি।
আপনার জন্মছকে কি শনি, রাহু ও কেতু কুপিত হয়ে আছে? চিন্তা করবেন না, খাবারেও কাটে গ্রহদোষ। এখন দেখে নেওয়া যাক কোন গ্রহের অশুভ প্রভাব কাটাতে কেমন খাওয়া উচিত—
শনি—
জন্মছকে শনি যাদের নীচস্থ বা শনির মহাদশা কালে যারা তার কুপিত প্রভাবে পড়ে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে রয়েছেন, তারা প্রতি শনিবার তিল দিয়ে তৈরি খাদ্য গ্রহণ করুন। অর্থাৎ তিল দিয়ে তৈরি মিষ্টি বা তিলের বড়া ইত্যাদি খাবেন। যারা শনির সাড়ে সাতির মধ্যে রয়েছেন তারাও এই ক্রিয়া করতে পারেন। রোজকার খাবারের সঙ্গে তিল দিয়ে তৈরি খাবার অল্প মাত্রায় গ্রহণ করুন। গ্রহ দোষ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন।
রাহু—
রাহুর মহাদশা, অন্তর্দশা বা প্রত্যন্তর দশা কালে অথবা জন্মছকে যদি রাহু নীচস্থ বা কুপিত থাকে কিংবা অন্যান্য গ্রহের দৃষ্টি বিনিময়ের ফলে জাতক-জাতিকার প্রতি অশুভ ফল প্রদর্শন করে তবে প্রতি শনিবার আমের থেকে তৈরি খাদ্য গহণ করুন। যেমন আমসত্ত্ব, আমের আচার বা ভাতের সঙ্গে পাকা আম ইত্যাদি খাবেন। পারলে দু’-এক টুকরো আমসত্ত্ব শনিবার কাককে খাইয়ে দিন। এ ভাবে রোজকার খাবারের সঙ্গে আমের তৈরি খাদ্য গ্রহণ করুন। এতে কিছুটা সুফল পাবেন।
কেতু—
জন্মছকে যদি কারও কেতু নীচস্থ থাকে বা কেতুর মহাদশা, অন্তর্দশা অথবা প্রত্যন্তর দশাকালে কেতু কুপিত থাকে বা অশুভ ফল দেয়, তবে প্রতি শনিবার তিক্ত স্বাদযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন। যেমন, করলা বা উচ্ছের তরকারি বা সিদ্ধ। অথবা শুক্ত বা নিমপাতা ভাজা ইত্যাদি। এ ভাবে দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে অল্প তেতো স্বাদযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন। এতে গ্রহদোষ কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy