চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
ভরণী নক্ষত্রের জাতকরা হয় খুবই উদার চিত্তের। কেউ যদি কোনও কটূ কথা বলে, তা হলে তারা খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যায়, মনে কোনও রাগ পুষে রাখতে এরা একদমই পারে না।
এদের চোখ হয় খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এদের চোখ যেন সব সময় কিছু পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। মুখের হাসি ও চিত্তহরণকারী ব্যবহারে যে কোনও মানুষকে এরা নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।
এরা ঝুঁকি নিতে খুব পছন্দ করে। তবে মনে যত আতঙ্কই থাক না কেন, তা বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারবে না। এরা মানুষের ভাল বন্ধু হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোনও সম্পর্কে বিশ্বাস করে না।
এই জাতকরা খুব আনন্দ প্রিয় হন। সঠিক নির্দেশে যে কোনও কাজ করার ফলে তাড়াতাড়ি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। আপনি সব কাজই বিবেকের নির্দেশে করে। জীবনে কিছু হারানোর ভয় থাকলেও অমানবিক কাজ কখনই করতে পারবে না।
এরা ভীষণ সৎ প্রকৃতির হয়। তাই সব কাজ নিজে করার চেষ্টা করে। ভরণী নক্ষত্র নারীদের জন্য খুবই ইতিবাচক। এটি মেয়েলি গুণাবলী বাড়ায়। এরা গুরুজনদের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।
আরও পড়ুন: আমাদের জীবন সংগ্রামে অনাহতচক্র ব্লক থাকলে কি ক্ষতি হতে পারে
এরা কোনও কিছুর সুযোগ নিতে পছন্দ করে না, বরং সুযোগ নিজে তৈরি করে নেয়। সুযোগের আপেক্ষাও কখনও করে না। এদের আত্মসম্মান এতটাই যে, তার জন্য সে সব কিছু ছাড়তে পারে।
শিক্ষা ও পেশা
একটু চেষ্টা করলেই উচ্চ শিক্ষিত হতে পারে এরা। মডেলিং, সঙ্গীত শিল্পী, গান-বাজনা, থিয়েটার, অভিনয় জগত, ফোটোগ্রাফি, এডিটিং, মোটর গাড়ির কাজ, আইন ইত্যাদি কাজে সাফল্য পেতে পারে। এ ছাড়াও অর্থ সঞ্চয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ থাকবে।
পারিবারিক জীবন
এদের সাংসারিক জীবন খুবই সুখের হয়। তবে যখন বিয়ের কথা আসবে তখন ২৭ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। স্ত্রী হবে খুব বিশ্বাসী ও তার কাছ থেকে প্রচুর ভালবাসা ও সাহায্য পায় এরা।
পরিবারের সকলের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এবং এটাই আপনার জীবনের মূল মন্ত্র বলে মনে করে। পরিবারকে এতটাই ভালবাসে যে তাদের ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারে না। গুরুজনদের প্রতি ভক্তি ও ভালবাসা রাখার ফলে সুন্দর সুস্থ সাংসারিক জীবন উপভোগ করতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy