কখন আপনার চাকরি হবে, এটা জানা কোটি টাকার প্রশ্ন। আপনার চাকরি পাওয়ার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্ক থাকতেও পারে, আবার না থাকতেও পারে। জ্যোতিষ মতে চাকরি পেতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আপনার জন্মছকটি চাকরির ছক না ব্যবসার ছক। অথবা চাকরি এবং ব্যবসা দুটোই আপনার জন্মছকে আছে কি না। যে কোন জ্যোতিষের কাছে গিয়ে এটা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
জ্যোতিষমতে খুব সহজ ভাবে বললে চাকরি চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে তা হয় না, তার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। এই সময়ের আগে বা পরে চাকরি হয় না। কোনও কোনও সময়ে চাকরি হয় পরীক্ষিত কয়েকটি যোগ, দশা ও অন্তর্দশা বা গ্রহের ট্রানজিট বা গোচর ফল নীচে পরপর দেওয়া হল—
(১) তৃতীয় ও দ্বাদশ পতির দশা ও অন্তর্দশা আপনার জন্মছকে কখন আসছে, সেটা ভাল ভাবে দেখতে হবে। মাননীয় কৃষ্ণমূর্তিজি বলছেন, আপনার জন্মছকে তৃতীয় ভাব ও দ্বাদশ ভাব, কোন ভাবে একটু দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও দশম ভাবের ছোঁয়া পেয়েছে কিনা দেখুন, তা হলেই কেল্লা ফতে। তিনি আরও বলছেন, যে কোনও দিন চাকরি পায়নি বা অলস, সেও চেষ্টা করলে এই সময়ে চাকরি পাবে, যে কেউ এই যোগটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
(২) পাশ্চাত্য জ্যোতিষ মতে, উপরের মতো নিশ্চিত চাকরি পাওয়ার আর একটা যোগ, আপনারা এটাও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। মনে করুন, কোনও একজন জাতকের জন্ম ১০ ফাল্গুন১৩৫৯ (ইং ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩)। আমরা জানি, গড়ে ৩৬৫ দিনে এক বছর। তা হলে সূর্য বা রবি গড়ে প্রতি দিন এক ডিগ্রি করে সরবে। পাশ্চাত্য জ্যোতিষে প্রতি এক বছর = এক দিন ধরে বিচার করা হয়। যার ১০ ফাল্গুন জন্ম, সে ৬৫ বছর বয়সে হঠাত্ করে চাকরি পেল। ১০ ফাল্গূন মানে কুম্ভ রাশিতে ১০ ডিগ্রি। ৬৫ বছর মানে ৬৫ দিন। আগেই বলা হয়েছে ১ বছর = ১ দিন। তা হলে ৬৫ বছর =৬৫ দিন। আর ৬৫ দিন=৬৫ ডিগ্রি। কুম্ভের ১০ ডিগ্রি + ৬৫ ডিগ্রি= মেষের ১৫ ডিগ্রি (৩০ডিগ্রি=১টি রাশি)। জাতক চাকরি পেল ৬৫ বৎসর বয়সে মানে ২০১৮ সালে। এ বার গোচরে ২০১৮ সালে ধনুতে শনি প্রায় ১০ ডিগ্রিতে। ওই শনি, ধনুতে থেকে মেষের রবিকে ১২০ ডিগ্রি প্রেক্ষা ফেলছে যাকে পাশ্চাত্য জ্যোতিষে ট্রাইন প্রেক্ষা বলে। যা সবসময়ই শুভ। পাশ্চাত্য জ্যোতিষে এই পদ্ধতির নাম মেথড অফ প্রগনসিস।
উপরের ঘটনা সূত্র হল, বয়স অনুযায়ী রবির সঞ্চারটা উপরের নিয়মে বের করে দেখতে হবে। তারপর গোচরে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন এই গ্রহের যে কোনও একটি বা দু’টি গ্রহ যদি ডিগ্রিগত ভাবে একই রাশিতে থাকে অথবা ট্রাইন আস্পেক্টে বা প্রেক্ষাতে দেখে, তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় চাকরি হবেই।
(৩) যখন চাকরি চাওয়া হয়, সেই সময় দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও দশম পতির দশা বা অন্তর্দশা আপনার জন্ম ছকে চলতে হবে, এই ভাবের দশা বা অন্তর্দশা চললে জাতক/জাতিকা কিছু না কিছু কাজে জড়িয়ে থাকবেই। যে কেউ এই সুত্রটাও পরীক্ষা করতে পারেন।
(ক্রমশ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy