Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কোন রাশির লোক কী ভাবে অবসাদ মোকাবিলা করে (প্রথম অংশ)

এখানে আমরা আলোচনা করব এই হতাশা, গ্লানি, অবসাদ বা ডিপ্রেশন-সহ এই সকল নেগেটিভ ভাবকে কোন রাশির লোক কী ভাবে মোকাবিলা করে।

অসীম সরকার
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

সমাজবিজ্ঞানীরা বর্তমান যুগকে প্রতিযোগিতার যুগ বলেন। কেন বলেন, ব্যাখ্যা করার খুব একটা প্রয়োজন নেই নিশ্চয়। সমাজের সর্বস্তরে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে অল্পবয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা। আর আত্মহত্যা করার প্রবণতা আসে হতাশা, গ্লানি, অবসাদ বা ডিপ্রেশন থেকে যা আজ আমাদের সমাজ জীবনকে গ্রাস করে চলেছে।

এখানে আমরা আলোচনা করব এই হতাশা, গ্লানি, অবসাদ বা ডিপ্রেশন-সহ এই সকল নেগেটিভ ভাবকে কোন রাশির লোক কী ভাবে মোকাবিলা করে।

(১) মেষ রাশি: এই রাশির অধিপতি মঙ্গল। মঙ্গল চিন্তা করে সময় নষ্ট করার রাশি নয়। এটা লড়াই করার রাশি। বেশি ক্ষণ এক চিন্তা নিয়ে জাবর কাটেন না এই রাশির জাতক। স্বাভাবিক ভাবেই মেষ রাশির লোকদের অবসাদ সে ভাবে গ্রাস করে না।

(২) বৃষ রাশি: ভাল খাব, ভাল পরব, ভাল বিছানায় শোব, ভাল বাড়িতে থাকব, ভাল ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স থাকবে, এদের ভবিষ্যৎ ভাবনার কায়দা একটু আলাদা। এরা বিশেষ ভাবে আত্মসুখে সুখী। সেই জন্য নিজেরটা এরা আগে থেকে গুছিয়ে রাখতে জানে। এরা সেই অর্থে অন্যের দায়িত্ব নেয় না বা এড়িয়ে চলে। ফলে এদের অবসাদের মধ্যে খুব একটা পড়তে হয় না। তারপর এখানে চন্দ্র তুঙ্গে, মানে মনের দিক থেকে বৃষেরা বেশ সবল।

(৩) মিথুন রাশি: মিথুন রাশির জীবনে সুখ, দুঃখ পাশাপাশি চলে। তাই এরা জীবন সংগ্রাম করার জন্য মন আগে থেকেই তৈরী করে ফেলে। মনটাকে এতটাই শক্তপোক্ত করে তোলে যে, সামনে যদি ভূত এসে ভয় দেখায় তাতেও এরা ভয় পায় না। বলা যেতে পারে, এদের জীবনে ভয় বলে কিছুই নেই, যার ফলে হতাশা বা ডিপ্রেশনকে নিজের মতো করে মোকাবিলা করে থাকে।

(৪) কর্কট রাশি: এই রাশির অধিপতি চন্দ্র। চন্দ্র মনের রাশি। ফলে এই রাশি নেগেটিভ প্রভাবদ্বারা সহজেই প্রভাবিত হয়ে থাকে। এদের ডিপ্রেশনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এই রাশি প্রবল ভাবাবেগের রাশি। জীবন সংগ্রামে পরাজয় সহজে মেনে নিতে পারে না। খারাপ পরিবেশের প্রভাব এদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। জন্মছকে চন্দ্র বা রবি যদি দুর্বল থাকে তবে এরা সহজেই অবসাএর শিকার হয়ে থাকে।

(৫) সিংহ রাশি: এই রাশির অধিপতি রবি। গ্রহদের মধ্যে রবি সেই অর্থে রাজা। তাই এই রাশির জাতক/জাতিকারা সহজে হার মানার রাশি নয়। এদের ইচ্ছা ও মনের বিরুদ্ধে যা কিছু আসে, যা এদের প্রকৃতি বিরুদ্ধ, সে গুলি এরা সহ্য না করে ছুড়ে ফেলে দেয়। এই রাশি সমাজ ও নিজের জন্য জন্ম থেকেই জীবন সংগ্রাম করে থাকে। তাই রাহু বা কেতু, এই দু’টি গ্রহ ডিপ্রেশন সৃষ্টির গ্রহ। এরা যদি প্রভাবিত না করে, তা হলে এরা কখনও অবসাদের শিকার হয় না।

(৬) কন্যা রাশি: এই রাশি ভিতরে ভিতরে প্রবল ভাবাবেগের রাশি। এরা বড্ড চালাক, তাই এরা এদের আবেগ লুকিয়ে রাখতে জানে। এরা এদের কান্না সব সময় লোকচক্ষুর আড়ালে রাখে। তাই লোকে এদের কান্না ভেজা চোখ দেখতে পায় না। এরা এদের অনুভূতি বা দুঃখ বা অবসাদ মানুষের সামনে আনে না। ফলে এরা যখন অবসাদে ভোগে, তখন মনের মধ্যে নিত্য তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়। এক সময় না এক সময় এরা সেই অবসাদকে তাড়িয়ে দেয়। এই ভাবেই এরা বেঁচে থাকে।

(৭) তুলা রাশি: মনের দিক থেকে তুলা রাশির লোকেরা বেশ শক্তপোক্ত। তারপর এরা চরম বাস্তববাদী। এরা বাস্তবের আলোয় সব কিছুকে দেখে। তাই এরা জানে কোনটি ভাল আর কোনটি ক্ষতিকর। এই কারণে এদের ভাবনা সব সময় পজিটিভ দিকে চালিত করে। ফলে সাময়িক মন খারাপ করলেও মানসিক রোগের শিকার এরা কোনও কালেই হয় না।

(ক্রমশ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Depression Rashi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE