(১০) স্টার রুবি (Star Ruby): স্টার রুবি ধারণ করতে বলা হয় তখন, যখন দুর্বল, নীচস্থ শনি দ্বারা প্রভাবিত জন্মছকের রবি ঠিকমতো ফল দিতে পারে না। সাধারণত যাদের চুনি কেনার মতো সে রকম সামর্থ্য নেই, তাদের চুনির বদলে স্টার রুবি ধারণ করতে বলা হয়ে থাকে। এই রত্নটি ক্যাটস আইয়ের মতো এক পাশে পালিশ করা থাকে। এর বর্ণ সঠিক ভাবে বলা বা প্রকাশ করা বেশ কঠিন। তবে কিছুটা খয়েরি রঙের বা লালচে আভাযুক্ত বা কালচে লাল বা চকলেট কালারের মতো। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১২ রতির উপর পরতে পারেন, তাতে রবির প্রতিকারে ভালই কাজ দেয়।
(১১) অ্যাকোয়া মেরিন( Aqua Marine): নীচস্থ বা অশুভ বুধ গ্রহের প্রতিকারার্থে পান্নার বদলে অ্যাকোয়া মেরিন ধারণ করতে বলা হয়। যারা খুব অস্থির প্রকৃতির, পড়াশোনায় একদম মন বসাতে পারছে না, এমন সব ছেলেমেয়েদের যদি অ্যাকোয়া মেরিন পরিমাণ মতো ধারণ করানো যায়, তা হলে পান্নার চেয়েও এ ক্ষেত্রে তা মন্ত্রের মতো কাজ করে। এই রত্নটি দেখতে সবুজ, লালচে হলুদ, সবুজ-হলুদের মিশ্রণ। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ৬/৭ রতির মতো ধারণ করতে পারেন।
(১২) ওপাল(Opal): এই রত্নটিকে ইউরোপ বা আমেরিকায় ব্যাপক হারে ধারণ করতে দেখা যায়। এই রত্নটি সৌভগ্য আনে।তুলনামূলক বিচারে ভারতে জ্যোতিষের রত্ন হিসেবে এর ব্যবহার খুব কম। যেটুকু ব্যবহার হয়ে তা গয়নায়। এই রত্ন মূলত বুধ ও শুক্রের প্রতিকারার্থেই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষত যাদের দাম্পত্য অসন্তোষ চলছে, সেখানে এই রত্নটি মন্ত্রের মতো কাজ করে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১০ থেকে ১২ রতির মধ্যে ধারণ করতে পারেন।
(১৩) অনিক্স(Onyx): কেউ কেউ এই রত্নটিকে অনিক্স পান্না বলে। আসলে এটি পান্নার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। দেখতে এটি সবুজ হলেও, বলা চলে সবুজ মিশ্রিত রং এর। এটি বেশি মাত্রায় ধারণ করতে হয়। দামেও বেশ সস্তা। নারী-পুরুষ উভয়ে ১৫ রতির কাছাকাছি বা তার বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
(১৪) মুন স্টোন(Moon Stone): মুন স্টোন নাম শুনেই অনেকে ভাবেন মুন মানে চন্দ্রের প্রতিকারে এটা ব্যবহার হয়ে থাকে। তা কিন্তু মোটেই নয়। মুন স্টোনের বর্ণ বাইরের দিক থেকে যেমনই হোক না কেন, মুনস্টোন পুরোপুরি বৃহস্পতির রত্ন। মুন স্টোনের স্পেকট্রাম কালার আকাশি। শুধু মুন স্টোনের স্পেকট্রাম কালার আকাশি হয় না। এই সঙ্গে আছে টোপাজ এবং পোখরাজ। তাই মুন স্টোন, পোখরাজ এবং টোপাজের মধ্যে থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনও একটি রত্ন বেছে নিয়ে বৃহস্পতির প্রতিকারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১০ থেকে ১২ রতির মতো মুনস্টোন ব্যবহার করতে পারেন।
(১৫) অ্যাম্বার (Amber): এই রত্নটি খনিজ পদার্থ নয়। এটি বৃক্ষের আঠা থেকে তৈরি। এর থেকে ধূপ-সহ নানা ঔষধ তৈরি হয়।এটি সাধারণত মঙ্গলের কুপ্রভাব ঠেকাতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটা বেশি মাত্রায় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে থাকেন পীড় ও ফকিরেরা। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১৬/১৭ রতি ধারণ করতে পারেন।
(১৬) লাজবর্ত (LAPIS LASULI): এটি শনির উপরত্ন, নীলার পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দেখতে নীল বলে কেউ কেউ এই রত্নটিকে নীলম বলে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১০ থেকে ১৫ রতি ধারণ করতে পারেন।
(১৭) তুর্মলিন (Tourmoline): তুর্মলিন নানা বর্ণের হয়ে থাকে, যেমন সবুজ কালচে, গাঢ় নীল বা হালকা নীল। এটি মূলত রাহুর প্রতিকারে ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১০/১২ রতি ব্যবহার করতে পারেন।
(১৮) টাইগার আই(Tiger Eye): এই রত্নটি নানা বর্ণের হয়। দেখতে মনোরম সুন্দর বলে সব দেশেই এটি অলঙ্কার হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। বাস্তবিক পক্ষে টাইগার আই ক্যাটস আই-এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেক সময় শিশু ও সুন্দরীরা গলায় মালা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন নেগেটিভ প্রভাব থেকে বাঁচতে বা অপরের কুনজর বা মানসিক যৌন ললসার হাত থেকে রক্ষা পেতে।
(১৯) বেরিল(Beryl): বেরিলকে অনেক সময় বৈক্রান্তমনি বলে চালানো হয়। এটা ভুল। বৈক্রান্ত শুক্রের প্রতিকারে ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে এটি নেই বললেই চলে। বেরিল বুধের উপরত্ন পান্নার বিকল্প হিসেবে এর বিশাল ব্যবহার। বাজারে এক ধরনের অশুভ জ্যোতিষী ও রত্ন ব্যবসায়ীরা ভাল জাতের বেরিলকে পান্না হিসেবে ব্যবহার করে লোক ঠকাচ্ছেন। এটি দেখতে মিশ্র সবুজ রঙের। বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন বেরিল থেকেই পান্নার উৎপত্তি। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ/নারী ১০ রতির উপর ধারণ করলে ভাল উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy