জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে ন’টি গ্রহের প্রত্যেকটি গ্রহ এক একটি রোগের কারক। ষষ্ঠ ভাব থেকে অসুখ-বিসুখের বিচার করা হয়। এই সমস্ত গ্রহ যখন অশুভ অবস্থায় থাকে এবং ষষ্ঠ ভাবের সঙ্গে যুক্ত হয় তখন রোগের উৎপত্তি হয়। শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এ তো গেল রোগভোগের কথা। এখন শরীরটাকে তো সুস্থ রাখতে হবে। আসুন জেনে নিই কিছু সহজ উপায় যা আমরা অনায়াসেই করতে পারি।
১। স্নান করার পরে প্রতি দিন বিশ্বাস সহকারে ইষ্টদেবতার ধ্যান করুন।
২। সকালে উঠে প্রতি দিন প্রাণায়াম করতে হবে।
৩। কোনও দীর্ঘকালীন রোগ থাকলে, একটা ছোট শঙ্খের ভিতর সন্ধক লবণ পুরে সেটা রোগীর বিছানার নীচে রাখতে হবে।
৪। প্রতি দিন স্নান করে উঠে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র একশো আট বার জপ করতে হবে।
‘ওঁ ত্রম্বকম যজামহে সুগন্ধিং
পুষ্টি বর্ধনাম।
ঊর্বারু কমিব বন্ধনাৎ
মৃত্যুমক্ষীয় মামৃতাৎ’।
৫। দুধ, গঙ্গাজল, ঘি, মধু, দই এক সঙ্গে মিশিয়ে শিবলিঙ্গে আস্তে আস্তে ঢেলে, পাটা দিয়ে গড়িয়ে পড়া জল একটি পাত্রে সংগ্রহ করে, সেই জল চোখে, মুখে, মাথায় ছিটিয়ে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করে খেয়ে ফেলতে হবে।
৬। জলে সিদ্ধিপাতা দিয়ে প্রতি সোমবার শিবকে স্নান করিয়ে রোগমুক্ত করার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।
৭। এক ঘটি জল রাতে শোয়ার সময় খাটের নীচে রাখতে হবে। প্রতি দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সেই জল সবুজ গাছের নীচে দিলে মন-প্রাণ সতেজ থাকবে।
৮। পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ প্রতি দিন তামার পাত্রে ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে সেই জল খেলে শরীর ভাল থাকবে।
৯। এ ছাড়া মহামৃত্যুঞ্জয় কবচ, দেহ রক্ষা কবচ বা বিভিন্ন রোগের কবচ ধারণ করা যেতে পারে।
১০। রত্ন সহকারে গ্রহের প্রতিকার করলেও উপকার পাবেন।
বিঃ দ্রঃ- প্রয়োজনে উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy