আমরা দেখি সব থাকা সত্ত্বেও আমাদের জীবনে ঘনিয়ে আসে বিভিন্ন সমস্য। যেমন—
১। অকারণ চিন্তা ও পরিবারে ঝগড়ার সৃষ্টি হওয়া।
২। সব কাজই শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যাওয়া।
৩। ভাল ফল অনেক অপেক্ষার পর পেলেও তা অতি কম হওয়া।
৪। সব কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও সন্তানের বিবাহ দেরিতে হওয়া।
৫। ভাল উপার্জনেও হাতে টাকা না থাকা।
৬। সন্তান ও পিতা মাতার মতের বিরোধ।
৭। সর্বদাই শরীরে ব্যথা থাকা।
৮। নিজের গৃহে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করা, বিবাহ বিচ্ছেদ।
৯। পুত্রের থেকে কন্যা সন্তান বেশি হওয়া।
১০। পিতৃগৃহ থেকে সন্তানের দূরে থাকা।
১১। জাতকের মামা না থাকা।
১২। ভাগ্য সাহায্য না করা।
১৩। সন্তানের বার বার অসুস্থতা।
১৪। সন্তান ধারণে সমস্যা আসা ও গর্ভপাত হওয়া।
১৫। পড়াশোনার ক্ষতি হওয়া বা বেশি দূর পড়াশোনা না হওয়া।
১৬। শারীরিক/মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তান হওয়া।
১৭। নেশাতুর সন্তান ও জাতকের ঘন ঘন জীবিকার পরিবর্তন হওয়া।
১৮। সংসারে অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়া ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকা।
যদি আমাদের কারও উক্ত সমস্যাগুলি থেকে থাকে, তখন আমাদের জন্মছক দেখতে হবে পিতৃদোষের অবস্থানের জন্য। উপরোক্ত সমস্যাগুলি পিতৃদোষের কারণে জাতকের জীবনে এসে থাকে।
এখন দেখে নেওয়া যাক উক্ত সমস্যার সমাধানের উপায়—
১। একজন পণ্ডিত পুরোহিত দ্বারা এক সপ্তাহ ধরে শ্রীমৎভাগবত গীতা পাঠ, উক্ত অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী এবং শুভাকাঙ্খীদের আমন্ত্রণ জানানো এবং ভগিনী ও কন্যা সন্তানকে উপহার প্রদান করা।
২। প্রতি দিন সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রীবিষ্ণু সহস্র নাম পাঠ করা।
৩। পরিবারের সমস্ত সদস্যদের কমপক্ষে ২০০ বার ‘ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়’ মন্ত্রটি পাঠ করা।
৪। গয়ায় গিয়ে তিন দিন ধরে পিতৃদোষ শান্তি অনুষ্ঠানটি পালন করা।
৫। প্রতি অমাবস্যয় একজন ব্রাহ্মণকে দক্ষিণ দিক মুখ করে বসিয়ে খাবার খাওয়ানো এবং কিছু অর্থ দান করা।
৬। এ ছাড়া কুকুর, গরু এবং ভিখারীকে খাবার খাওয়ানো।
৭। গৃহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। নিরামিষ খাবার খাওয়া, মদ্যপান না করা, মিথ্যে কথা না বলা। কাউকে না ঠকানো, এবং গুরুজনদের সন্মান করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy