বিবাহ বা জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাপার অবশ্যই জ্যোতিষ সংক্রান্ত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা প্রয়োজন। তাতে বিবাহিত জীবন সুখের হবে। যে দিকগুলি দেখা দরকার সেগুলি হল—
• জাতকের লগ্নপতি যে ঘরে অবস্থান করবে তার পঞ্চম অথবা নবম স্থান হবে জাতিকার লগ্ন। অথবা জাতকের লগ্নপতি বা ভাবটি হবে তুঙ্গ স্থান বা জন্মছকে জাতকের সপ্তম স্থান।
• জাতিকার বিবাহ হবে সেই দিকে যা তার সপ্তম ভাব নির্দেশ করবে। এটা জাতক বা জাতিকার উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
• লগ্নপতি যদি সপ্তম স্থানে অবস্থান করে এবং তার সঙ্গে যদি অশুভ কোনও গ্রহ যুক্ত হয় তা হলে জাতক বা জাতিকার পরিবার কোনও ভাল বংশের দিকেই নির্দেশ করে।
• যদি লগ্নপতি সপ্তম স্থানে অবস্থান করে এবং কোনও শুভ গ্রহ তার সঙ্গে অবস্থান করে, তা হলে জাতিকার বিবাহ ভাল পরিবার বা কোনও উচ্চবংশ নির্দেশ করে।
• জাতিকার চালচলন, সুন্দর, গুণ উপস্থিতি সবই নির্দেশ করে সপ্তম ভাব। অর্থাৎ সপ্তম পতির ওপর অথবা সপ্তম ভাবে বা সপ্তম পতির ওপর কী রূপ শুভ বা অশুভ দৃষ্টি পড়ছে, তার ওপর।
• যদি সপ্তম পতি ও সপ্তম ভাব খুবই শক্তিশালী হয়, তা হলে জাতক বা জাতিকার উচ্চবংশে বিবাহ হয়। কিন্তু যদি সপ্তম ভাব খুবই দুর্বল হয়, তা হলে তার স্বামী বা স্ত্রী আপাতদৃষ্টিতে কোনও কুলিন বংশজাত না হওয়ার যোগ নির্দেশ করে।
আরও পড়ুন: কেমন যাবে আগামী বছর? কী বলছে আপনার পার্সোনাল ইয়ার সংখ্যা (প্রথম পর্ব)
• যদি চন্দ্র সপ্তম স্থানে অবস্থান করে এবং ওই স্থানে যদি মঙ্গলের দৃষ্টি থাকে বা কোনও গ্রহের শুভ দৃষ্টি পড়ে তা হলে জাতক-জাতিকার দূরে বিবাহ হয়।
• আবার একই ভাবে সপ্তম স্থানে চন্দ্র অবস্থান করে এবং ওই স্থানে মঙ্গলের দৃষ্টি পড়ে, তা হলে জাতক-জাতিকার বিবাহের যোগাযোগ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy