শাস্ত্রীয় মতে বাড়ির চারটে প্রধান দিক। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল ব্রহ্মস্থান। এই স্থানটিকে বাড়ির নাভিস্থান বলা হয়। তাই বাড়ি করার সময় মনে রাখতে হবে, ব্রহ্মস্থানে যেন কোনও রকম আঘাত না লাগে। এই স্থান অক্ষত রেখেই বাড়ি তৈরি করা উচিত। ব্রহ্মস্থান যেমন বাড়ির হয়, তেমনই আবার ব্রহ্মস্থান ঘরেরও হয়। যে কোনও ঘরের মাঝখানটা সেই ঘরের ব্রহ্মস্থান।
দেখে নেওয়া যাক ব্রহ্মস্থানে কী কী করতে নেই-----
• যে কোনও ব্রহ্মস্থান সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত।
• এই স্থানে কোনও গর্ত, থাম, পয়ঃপ্রণালীর চেম্বার, পাতকুয়ো, আবর্জনা প্রভৃতি করা যাবে না।
• বাস্তুতে, গৃহে, শোওয়ার ঘরে, কলকারখানায় বা যে কোনও স্থানে ব্রহ্মস্থান সব সময় খালি রাখতে হবে।
• এই স্থানে কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।
• ব্রহ্মস্থানে ছোট ফুলের গাছ রাখা যেতে পারে।
• অফিসের ব্রহ্মস্থানটিতে মিটিং বা কনফারেন্স গৃহ করা যায়।
• ব্রহ্মস্থানে কোনও জুতো, নোংরা বস্তু, এঁটো ফেলা বা রাখা উচিত নয়।
• ব্রহ্মস্থানে কোনও চেয়ার, টেবিল, শোফা না রাখাই উচিত।
আরও পড়ুন: জন্ম সময় অনুযায়ী কেমন হতে পারে আপনার ভাগ্য
• ফ্ল্যাটবাড়ি বা ছোট গৃহে যেখানে ব্রহ্মস্থান খালি রাখার কোনও জায়গা নেই, সেই জায়গাটিতে লিভিংরুম করা যায়।
• কলকারখানার ব্রহ্মস্থানটিতে কোনও ভারী জিনিসপত্র রাখা যাবে না।
• কলকারখানার ব্রহ্মস্থানটিতে মন্দির করা যেতে পারে। ঠাকুরের মুখ যেন পুর্ব দিকে থাকে।
• ব্রহ্মস্থানটিকে উঠোন বা লন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
• অফিস ঘরের ব্রহ্মস্থানটিতে বিগ্রহ রাখা যেতে পারে।
• কোনও কোনও সময় দেখা যায় যে, ব্রহ্মস্থানের যে স্থানে ক্ষতি হয়, বসবাসকারিদের দেহে ঠিক সেই স্থানে ক্ষতি হয়ে থাকে।
• বাড়ির বা বাস্তুর পূর্ব দিক নিচু হলে বংশ বৃদ্ধি হয়। উত্তর দিক নিচু হলে ধন বৃদ্ধি হয়। দক্ষিণ দিক নিচু হলে রোগ সৃষ্টি হয় এবং বংশ বৃদ্ধিতে বাধা আসে। পশ্চিম দিক নিচু হলে ধন ক্ষয় হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy