Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

লালকিতাব অনুসারে নীচস্থ গ্রহের প্রতিকার

জ্যোতিষের মাধ্যমে জন্মছক তৈরী করে প্রথমেই দেখতে হবে কোন কোন গ্রহ নীচস্থ। যে গ্রহগুলি নীচস্থ শুধুমাত্র তারই প্রতিকার নিতে হবে। নীচে যে যে গ্রহের প্রতিকার উল্লেখ আছে তা ৪৩ দিন ধরে করতে হবে।

অসীম সরকার
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

নীচস্থ গ্রহ প্রতিকারে দামি রত্ন না ধারণ করে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি ব্যবহার করেও গ্রহ প্রতিকার করা যায়।

জ্যোতিষের মাধ্যমে জন্মছক তৈরী করে প্রথমেই দেখতে হবে কোন কোন গ্রহ নীচস্থ। যে গ্রহগুলি নীচস্থ শুধুমাত্র তারই প্রতিকার নিতে হবে। নীচে যে যে গ্রহের প্রতিকার উল্লেখ আছে তা ৪৩ দিন ধরে করতে হবে। নীচে বলা আছে বিভিন্ন দ্রব্যাদি দান করতে, সেখানে গরীব সৎ লোককে দান করা যেতে পারে বা স্রোতের জলে বা নদীর জলে ফেলা যেতে পারে বা ধর্মীয় মন্দিরে নিবেদন করা যেতে পারে।

(১) নীচস্থ বৃহস্পতির প্রতিকারঃ ছোলা বা চানা, মুসুর ডাল বা সোনা দান।

(২) নীচস্থ রবির প্রতিকারঃ গম বা লাল বর্ণের তামা দান।

(৩) নীচস্থ চন্দ্রের প্রতিকারঃ দুধ নদীর জলে নিক্ষেপ বা রূপা দান।

(৪) নীচস্থ শুক্রের প্রতিকারঃ দই বা সাদা মাখন নদীতে নিক্ষেপ বা শ্বেতমুক্ত দান।

(৫) নীচস্থ মঙ্গলের প্রতিকারঃ গায়েত্রী পাঠ করা বা যে কোন লাল দ্রব্য দান, মুসুর ডাল দান বা লাল চুণী বা লাল প্রবাল দান।

(৬) নীচস্থ বুধের প্রতিকারঃ দুর্গার পট বা ছবি দান, মুগ ডাল দান বা পান্না দান।

(৭) নীচস্থ শনির প্রতিকারঃ লৌহ দান বা কয়লা দান বা মাস কলাই দান বা চর্মজাত দ্রব্যাদি দান।

(৮) রাহুর প্রতিকারঃ সর্ষে দান বা নীলা দান বা কুমারী পূজা।

(৯) কেতুর প্রতিকারঃ সাদা বা কালো তিল দান বা সাদা বা কালো কম্বল দান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Astrology Lal Kitab Remedies
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE