জাতচক্র বা রাশিচক্র অনুযায়ী জাতক বা জাতিকার পক্ষে কোন কোন গ্রহ অশুভ বা খারাপ সময় আনবে (মেষ, বৃষ ও মিথুন) দেখে নেওয়া যাক
মেষ- বুধ, শুক্র ও শনি অশুভ বা পাপ গ্রহ। বুধ তৃতীয় ও ষষ্ঠভাবের অধিপতি। ফলে শত্রুকারক। বুধের জন্য রোগ, মামলা-মোকদ্দমা, কর্মহীনতা ইত্যাদি অশুভ ফল লাভ হয়। শুক্র শুভ গ্রহ হয়েও সপ্তমভাবে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় অধিপতি হয়ে দূষিত হয়। দূষিত শুক্রের জন্য দাম্পত্য সুখের হানি ঘটে এবং আর্থিক কষ্ট হয়। শনি একাদশ ভাবের অধিপতি হয়ে অশুভ ফলদাতা হন। অশুভ শনির কারণে কর্মক্ষেত্রে ও আমদানিতে বাধা আসে।
বৃষ- মঙ্গল, বৃহস্পতি ও চন্দ্রকে পাপ বা অশুভ গ্রহ ধরা হয়। মঙ্গল এখানে সপ্তম ও দ্বাদশভাবের অধিপতি। মঙ্গল সপ্তমভাবের অধিপতি হয়ে প্রবল মারকত্ব, মাঙ্গলিক দোষ তৈরি করে। অশুভ মঙ্গলের জন্য অর্থহানি হয়, দাম্পত্য সুখে বাধা আসে। বৃহস্পতি অষ্টম ও একাদশ ভাবের অধিপতি হয়ে প্রবল ভাবে অশুভ হয়। বৃহস্পতি অশুভ হওয়ার জন্য হঠাৎ বাধা ও ধনহানির সম্মুখীন হতে হয়। চন্দ্র তৃতীয় ভাবের অধিপতি হলে অশুভত্বের জন্য আলস্য ও হতাশার শিকার হতে দেখা যায়। এই ভাবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও চন্দ্র পাপ গ্রহ হওয়ার জন্য রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই লগ্নে শুক্র, লগ্ন ও ষষ্ঠ অধিপতি। ফলে শুক্র নিজেই শত্রুতার প্রধান কারক গ্রহ। কর্মক্ষেত্রে জাতক নিজেই কিছু ভুল করে শত্রুতার কবলে পড়ে।
মিথুন- চন্দ্র, মঙ্গল ও বৃহস্পতি পাপ গ্রহ। চন্দ্র দ্বিতীয় অধিপতি হওয়ায় অশুভ চন্দ্রের কারণে আর্থিক স্থিতি খুব খারাপ হয়। বৃহস্পতি সপ্তম ও দশম ভাবের অধিপতি হয়ে কেন্দ্রাধিপতি দোষের কারণে দূষিত। এই দূষিত বৃহস্পতির জন্য উন্নতিতে বাধা আসে। দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্য ও কার্যক্ষেত্রে অপ্রিয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আবার মঙ্গল ষষ্ঠ ও একাদশ ভাবের অধিপতি হয়ে প্রবল শত্রু তৈরি করে। ঝগড়া-বিবাদ, মামলা-মোকদ্দমা ও ঋণ প্রভৃতি থেকে কষ্ট ভোগ করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy