গণেশ পূজার জন্য বিশেষ দিন হচ্ছে ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী। সাধারণত শ্রাবণ, ভাদ্র, অগ্রহায়ণে এই পূজা হয়। কিন্তু যে কোনও মাসের শুক্লা চতুর্থীতে ওঁর পূজা করা যেতে পারে। বুধবার যে হেতু শ্রীগণেশের জন্মবার, ওই দিনও পূজা করা যায়। এ বারে শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী- ২৭ ভাদ্র, ১৪২৫, বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮।
এখন দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন সমস্যার জন্য আলাদা আলাদা গণেশ অভিষেকের নিয়মঃ—
১। আপনি যদি চাকরি পাওয়ার জন্য পূজা করেন, তা হলে আগের দিন রাত্রে একটি পাত্রে গঙ্গাজল দিয়ে তার মধ্যে একটু সুপারি ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন ওই সুপারিটি তুলে নিয়ে ওই জল দিয়ে মন্ত্র বলতে বলতে অভিষেক অর্থাৎ স্নান করান।
২। যদি প্রচুর শত্রুতা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে হাতির দাঁতের তৈরি কোনও জিনিস গঙ্গাজলে ডুবিয়ে রেখে সেই জল দিয়ে অভিষেক করান। বা গঙ্গাজলের মধ্যে লাল চন্দন গুঁড়ো ফেলে তার মধ্যে দেবদারু পাতা ভিজিয়ে সেই জল দিয়ে অভিষেক করালেই শত্রু দমন হয়।
৩। ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে বা চাকরিতে পদোন্নতি আটকে গেলে আপনি পান পাতার রস কাপড়ে ছেঁকে তার সঙ্গে একটি এলাচ, একটি লবঙ্গ এবং একটু মৌরি বেটে তার রসটুকু কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে অর্ধেক সুপারি এক সঙ্গে গঙ্গাজলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে অভিষেক করাবেন।
৪। অনেকের বহু দিনের ইচ্ছা একটা নিজস্ব বাড়ি। কিন্তু কিছুতেই তা পূরণ হচ্ছে না। সিদ্ধিদাতার কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কামনা করুন। দেখবেন ঠিক উনি পূরণ করবেন আপনার সাধ। পূজার আগে গঙ্গাজলে একটু বেসন মিশিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে ওঁর অভিষেক করাবেন।
৫। কোথাও কোনও টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে, কিন্তু পাচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সিদ্ধিদাতার কাছে প্রার্থনা জানাবেন এবং অভিষেকের সময় গঙ্গাজলের পাত্রে একটু আখের রস মিশিয়ে নেবেন।
৬। স্বামীর সুস্থতার জন্য সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা করুন। যাতে তিনি দীর্ঘজীবী হন, আপনার সিঁদুর যাতে চির অক্ষয় থাকে। সে ক্ষেত্রে গঙ্গাজলে অল্প সিঁদুর(মেটে লাল) ও ঘি মিশিয়ে নেবেন। তারপর সেই জলে অভিষেক করাবেন।
বিঃ দ্রঃ- যখনই অভিষেক করাবেন, ‘বক্রতুণ্ডায় হুম’ এই মন্ত্রটি বলতে থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy