Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শাস্ত্রমতে শুভ বিবাহের জন্য যা মেনে চলা উচিত

অশ্বলায়নের ‘গৃহসূত্র’ ও ‘মনুস্মৃতি’ গ্রন্থে বিবাহ বিধি প্রকরণ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়।

পার্থপ্রতিম আচার্য
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

অশ্বলায়নের ‘গৃহসূত্র’ ও ‘মনুস্মৃতি’ গ্রন্থে বিবাহ বিধি প্রকরণ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়।

দেখা নেওয়া যাক সেই বিধিগুলি-

১। বিবাহের পূর্বে শনি ও মঙ্গলবার, চতুর্থী, নবমী, চতুর্দশী ও অমাবস্যা তিথি; ভরণী, কৃত্তিকা, অশ্লেষা ও মঘা নক্ষত্র; বারবেলা, রাহুকাল, কালরাত্রি, ত্র্যহস্পর্শ ত্যাগ করে পাকা দেখা বা আশীর্বাদ করা প্রয়োজন।

২। বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ, অগ্রহায়ণ, মাঘ ও ফাল্গুন মাসে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে বিবাহ হলে কন্যা সৌভাগ্যশালী পতিব্রতা ও ঐশ্বর্যযুক্তা হয়।

৩। রোহিণী, মৃগশিরা, মঘা, উত্তরফাল্গুনী, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, উত্তরাষাঢ়া, উত্তরভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রে এবং মিথুন, কন্যা, তুলালগ্নে বিবাহ সুপ্রশস্ত।

৪। এ ছাড়া ‘গোধূলি লগ্নে’ বিবাহের প্রশস্তি শাস্ত্রে প্রায় সর্বত্র দেখা গেলেও অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে ‘গোধূলি লগ্নে’ বিবাহ নিষিদ্ধ। বঙ্গদেশে দিবাভাগে বিবাহ প্রশস্ত মানা হয় না।

আরও পড়ুন: আপনার জন্মছকে এই যোগ থাকলে আপনি ধনী হবেন

৫। বিবাহ সময়ে জাতক-জাতকার লগ্ন, চতুর্থ, পঞ্চম, নবম ও দশমে বৃহস্পতি কিংবা শুক্র থাকলে ‘সুতহিবুকযোগ’ হয়। এই যোগে লগ্নের সমস্ত দোষ নাশ ও সুখবৃদ্ধি হয়ে থাকে।

৬। বিবাহের দিনে কর্পূর, কুমকুম, মহুয়া ফুল, ধূনা, জায়ফল- এই পাঁচটি দ্রব্য এক সঙ্গে বেটে কন্যার হাতে প্রলেপ দিলে তার দুর্ভাগ্য ও বৈধব্য নাশ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Perfect Wedding Wedding Rashi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE