লগ্ন ভাব থেকে সপ্তম ভাব ও সপ্তম পতি, চন্দ্র থেকে সপ্তম ভাব ও সপ্তম পতি এবং শুক্র থেকে সপ্তম ভাব ও সপ্তম পতির অবস্থান থেকে জাতক-জাতিকার বিবাহ ও বিবাহিত জীবন সম্বন্ধীয় বিচার করতে হয়। সঙ্গে বিবাহ বিধি সংক্রান্ত কিছু তথ্যের উপরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এখন দেখে নেওয়া যাক গ্রন্থে উল্লেখিত বিধি প্রকরণ-
১। বিবাহের সময় গোরচনা (অভাবে হরিদ্রা), গোমূত্র, শুষ্ক গোময়, দধি ও চন্দন একত্রে বেটে কন্যার কপালে তিলক দিলে সৌভাগ্য ও আরোগ্য লাভ হয়।
২। কন্যার বৈধব্য যোগ কাটাতে অশ্বত্থ গাছ, শালগ্রাম শিলা, প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ বা পূর্ণকুম্ভের সঙ্গে কন্যার বিবাহ দেওয়ার উল্লেখ শাস্ত্রে আছে। তবে ভৌমদোষ বা মাঙ্গলিক যোগ বা বৈধব্য যোগ কাটাতে পূর্ণকুম্ভের সঙ্গে মালাবদল সব থেকে ভাল ফল প্রদান করে।
৩। বর ও কন্যাকে আচ্ছাদন করে পরস্পরকে মুখদর্শন করানোকে ‘জম্বুলমালিকা’ বা শুভদৃষ্টি বলে। মাতা ভিন্ন আর কোনও বিধবা নারীকে এই সময় স্পর্শ করতে নেই।
৪। কন্যা বিবাহের পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে কমণ্ডুলুতে গঙ্গাজল নিয়ে তাতে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে একটা সিকি জলে ফেলে মেয়ের দেহে ছুঁইয়ে তার যাত্রাপথে ওই জল ফেললে তার বৈবাহিক জীবন সুখের হয়।
আরও পড়ুন: শাস্ত্রমতে শুভ বিবাহের জন্য যা মেনে চলা উচিত
৫। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনে ফুলশয্যা করা উচিত নয়। বিবাহের পর চতুর্দশী, অষ্টমী, অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও সংক্রান্তি তিথির দিবাভাগে, প্রভাতে, সন্ধ্যেবেলা, ব্রতদিনে, শ্রাদ্ধদিনে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পীড়িত অবস্থায় স্ত্রী-পুরুষের সহবাস নিষেধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy