Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জ্যোতিষ ও বাস্তুবিজ্ঞানের নিয়মে ঘুমানোর সময় মাথা সঠিক ভাবে কোন দিকে রাখা উচিত

ঘুম জিনিসটা বিবর্তনের মাধ্যমে পশু থেকে মানুষের মধ্যে এসেছে। তাই ঘুম প্রয়োজন সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য। ভাল ঘুমের জন্য নানা রকম পদ্ধতির কথা ডাক্তাররা এবং ঘুম বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন।

অসীম সরকার
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

(দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতিষ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাস্তবিদ নিরঞ্জন বাবু বেঙ্গালুরুর মূল লেখা থেকে কিছু অংশ অনুকরণ করা হয়েছে)

বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, ঘুম জিনিসটা বিবর্তনের মাধ্যমে পশু থেকে মানুষের মধ্যে এসেছে। তাই ঘুম প্রয়োজন সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য। ভাল ঘুমের জন্য নানা রকম পদ্ধতির কথা ডাক্তাররা এবং ঘুম বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন। তাই ঘুমের সময় মাথা কোন দিকে সঠিক ভাবে রাখা দরকার, তা জেনে রাখা উচিত।

বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র কাজ করে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর আর সূর্য আমাদের বাঁচার জন্য যে জীবনী শক্তি দেয় তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রের ভিতর দিয়ে তা কাজ করে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর। পৃথিবীর অভ্যন্তরে যে “মল্টেন কোর” আছে তার ভিতর দিয়ে তড়িত প্রবাহিত হয়।

তাই ছাত্র-ছাত্রী বা অবিবাহিত নারী-পুরুষ, যারা কেরিয়ার গড়ার জন্য জীবন সংগ্রাম করছে, তারা শোয়ার সময় মাথাটা রাখবে পূর্বদিক বরাবর। কারণ প্রবাহিত তড়িত শরীরের একদিক থেকে অন্য দিকে যাওয়ার সময় আমাদের শরীরের যত রকম ইনফ্লেমেশন আছে তাদের বশে রাখে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রকে ক্রমাগত ভাবে একই রাখছে সূর্য থেকে আসা থারমাল এনার্জি। যখন পৃথিবীর পূর্ব দিক গরম হয় তখন পশ্চিম দিক ঠান্ডা থাকে। ফলে সূর্য যে থারমাল এনার্জি প্রতি মুহূর্ত তৈরি করে চলেছে, তা পৃথিবীর উপরিভাগের উপর দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়।

প্রাচীন ঋষি মার্কণ্ডেয় এক জায়গায় বলছেন, মানুষ যদি পূর্বদিকে মাথা রেখে ঘুমায়, তা হলে ঘুমের ভিতর সেক্রমাগত শিখে চলে। সেই সময় থারমাল এনার্জি একটা স্বাস্থ্যকর এবং সুখদায়ক আবহাওয়া সৃষ্টি করে যদি মাথাটা পূর্ব দিকে রাখা থাকে।

আর যদি ঘুমনোর সময় মাথাটা পশ্চিম দিকে থাকে, তখন প্রবাহিত এনার্জি বাধা পায়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, চিন্তাশক্তি বিভ্রান্তকর অবস্থায় পড়ে এবং আমরা অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ি।

ঋষি মার্কণ্ডেয় আরও বলেছেন, মানুষ শক্তিশালী ও দীর্ঘজীবী হয় যদি ঘুমের সময় মাথাটা থাকে দক্ষিণমুখী। কারণ যখন থারমাল এনার্জি পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়, তখন পৃথিবী চৌম্বকত্ব লাভ করে এবং ভৌগলিক উত্তর মেরু হয়, কারেণ্ট যে দিকে প্রবাহিত হয় তার ডান দিকে, আর আমরা পাই চৌম্বকীয় উত্তর মেরু।আর ভৌগলিক দক্ষিণ মেরু হয় কারেণ্ট যে দিকে প্রবাহিত হয় তার বাম দিকে। আর সেটি হয় চৌম্বকীয় দক্ষিণ মেরু।

এটা অনেক দিন আগেই প্রমাণীত হয়ে গেছে যে, আমাদের শরীর চৌম্বকীয় আবেশ লাভ করে, কারণ আমাদের শরীরে লোহিত রক্ত কনিকায় অসংখ্যক লৌহকনিকা আছে যা সারা শরীরে সঞ্চারিত হয়। আমাদের পা পৃথিবী নামক বিরাট চুম্বকের সঙ্গে নিত্য সংযুক্ত আছে ফলে আমাদের পা হয় আবেশিত দক্ষিণ মেরুর মতো কাজ করে, আর আমদের মাথা আবেশিত উত্তর মেরুর মতো কাজ করে। ফলে সমস্ত শরীরটা তখন ভাল স্বাস্থ্য লাভ করে এই প্রাকৃতিক মেরুকরণের জন্য।

পক্ষান্তরে, আমাদের মাথা যদি উত্তরে রাখা হয়, তখন প্রাকৃতিক মেরু করণের পরিবর্তিত হয় ফলে আমাদের স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Astrology Sleeping Position Vaastu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE