হিন্দিভাষী হিন্দুদের ভক্তি, উদ্দীপনা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় শ্রীশ্রীসূর্যপূজা। স্থানীয় ভাবে ‘ছটপূজা’নামে পরিচিত ধর্মীয় আচারটি প্রতি বছর কালীপূজার পর শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় নদীর তীরে সূর্য দেবতার আরাধনায় জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। এই পূজার সঙ্গে জড়িত আছেন স্বয়ং সূর্যদেব, আছেন মা গঙ্গা এবং দেবী অন্নপূর্ণা।
নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও বিপদ দূরীকরণে প্রতি বছর সূর্যপূজার সময় নদীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হরিজন,রবিদাস, রজক-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। নদীকে কেন্দ্র করে চলে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
চার দিন ধরে সূর্যপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের প্রথম দিন ১১ নভেম্বর, রবিবার, দ্বিতীয় দিন ১২ নভেম্বর, সোমবার, তৃতীয় দিন ১৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার, চতুর্থ দিন ১৪ নভেম্বর, বুধবার। বর্তমান বছরে (১৩ নভেম্বর, মঙ্গলবা্র, ২০১৮, সূর্যাস্ত বিকাল ৪টে ৫০ মিনিট) বিকালে পুণ্যার্থীরা উপবাস থেকে নৈবেদ্য ও বাজনা-সহ যে গঙ্গা বা যে কোনও নদীর তীরে উপস্থিত হবেন। এ সময় তারা সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে সূর্যপূজা করে থাকেন। পর দিন আবারও পূণ্যার্থীরা নদীর তীরে জড়ো হয়ে সূর্যোদয়ের (সূর্য্যোদয় সকাল ৫টা ৫৪ মিনিট) আগে থেকে একই নিয়মে পূজা শুরু করেন। পরে সূর্যোদয় হলে সূর্য প্রণাম ও নদীতে স্নান শেষে একে অন্যকে আবির মাখিয়ে পূজা সমাপ্ত করেন।
এই ব্রত পালনে সূর্যদেবের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি আমাদের জীবনে যেমন বিঘ্ননাশক, দুঃখনাশক, তেমনই সুখদায়ক, অর্থবৈভবদায়ক ও সন্তান প্রাপ্তি-সহ সন্তানের মঙ্গলদায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy