শাস্ত্র মতে, শনি অশুভ গ্রহ, আবার শনিই কর্মের কারক। শনিগ্রহের নামেই মানুষের আতঙ্ক। শনি অশুভ গ্রহ হলেও শনি পরম যোগী, পরম ত্যাগী, পরম পবিত্র, পরিশ্রমী, শৃঙ্খলা ও ন্যায় পরায়ণ এবং ন্যায়বিচারক গ্রহ। শনি মারক গ্রহ নয়। মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং বিবেক জাগরণকারী গ্রহ শনি। শনির সাড়েসাতির প্রভাব জাতক-জাতিকাদের শুদ্ধ এবং বাস্তবমুখী করে তোলে।
শনির সাড়েসাতি কাকে বলে? শনি ধীর গতিসম্পন্ন গ্রহ এক এক রাশিতে সর্বাধিক সময় অবস্থান করে। এই কারণে ফল দানের ক্ষমতাও সর্বাধিক। শনি প্রত্যেক রাশিতে দু’বছর ছ’মাস অবস্থান করে। চন্দ্র রাশির দ্বাদশে, চন্দ্র রাশিতে এবং চন্দ্র রাশির দ্বিতীয়ে শনির অবস্থান কালকে (সাড়ে সাত বছর) শনির ‘সাড়েসাতি’বলে।
‘সাড়েসাতি’ নামেই অনেকে আতঙ্ক বোধ করেন। কিন্তু সাড়েসাতি কালেও শনির অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রাশির দ্বাদশে শনির অবস্থানকালে সারেসাতি যখন শুরু হয়, ঠিক সেই সময় রাশির তৃতীয়ে বৃহস্পতি অবস্থান করলে সাড়েসাতির অশুভ প্রভাব থেকে জাতক মুক্ত থাকবে।
এই সময়পর্ব কেবল মাত্র বৃহস্পতির অবস্থান কালের সমান সর্বাধিক এক বছরের মতো। তৃতীয়ে বৃহস্পতির পরিবর্তে রাহু বা কেতু অবস্থান করলে সর্বাধিক এক বছর ছ’মাস পর্যন্ত সাড়েসাতির অশুভ প্রভাবের বাইরে থাকতে পারে জাতক। এই ভাবে বৃহস্পতি বা রাহু-কেতুর পরিবর্তে অন্য গ্রহের অবস্থানেও একই ফল মেলে। ব্যতিক্রম কেবল রবি (সূর্য), রবির তৃতীয়ে অবস্থান শনির ফলের ক্ষেত্রে শুভ বা অশুভ কোনও রকম প্রভাব ফেলে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy