Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Vastu Tips

বাস্তু মতে কোন দিকের ঘরে থাকলে দ্রুত মা হতে পারবেন? জানাচ্ছে জ্যোতিষ

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকে মেয়েরই নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও কিছু বাস্তু মতে ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন, জানাচ্ছে জ্যোতিষ।

Symbolic Image.

গর্ভবতী মায়ের জন্য কী ভাবে ঘর সাজাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

শ্রীমতী আপালা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ১২:৫১
Share: Save:

মাতৃত্বের ছোঁয়ায় এক জন নারীর নারীত্বের পূর্ণ বিকাশ ঘটে। প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে, মা হওয়া কি মুখের কথা! মা হওয়ায় সময় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যেমন ধকল, তেমন প্রয়োজন সাবধানতা। এই সময় মায়ের শরীর ও মন যে অবস্থায় থাকবে, তাঁর সন্তানের উপর ঠিক সে রকম প্রভাব পড়বে। তাই এই সময় মায়ের শারীরিক ও মনের অবস্থার খেয়াল রেখে কিছু বাস্তু টিপস দেওয়া হল।

গর্ভাবস্থায় ও তার ঠিক পরবর্তী অধ্যায়ে মা ও সন্তানকে সুস্থ এবং আনন্দে রাখতে বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী মায়ের ঘর সাজান।

দেখে নেওয়া যাক গর্ভবতী মায়ের ঘর ঠিক কী রকম হওয়া উচিত

১। যে দম্পতি সন্তান চাইছেন, বাস্তু মতে সেই দম্পতির ঘরের মুখ উত্তর ও পশ্চিম মুখী হওয়াই শ্রেয়। অন্তত তত দিন পর্যন্ত, যত দিন গর্ভধারণ না হচ্ছে।

২। বিনা কষ্টে এবং খুব নিরাপদে মা হওয়া যাবে যদি গর্ভাবস্থায় গর্ভধারিণী মা দক্ষিণ ও পশ্চিম মুখী ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করে। একান্ত যদি না হয় তা হলে উত্তর বা পূর্ব মুখী ঘরেও শোয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

৩। বিশেষ করে ভরা মাস গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা মাকে উত্তর বা পশ্চিম মুখী ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা না করাই উপযুক্ত।

৪। বাস্তুশাস্ত্র মতে শুধু ঘর নয়, শোয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে নির্দিষ্ট দিক মেনে। এই সময় গর্ভবতী মায়ের সব সময় দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই সময়ের জন্য দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোয়ার ব্যবস্থা শুভ।

৫। এই সময় ঘরের ব্রহ্মস্থান অর্থাৎ ঘরের মাঝখান ফাঁকা রাখতে হবে। আসবাবপত্র সব ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে রাখাতে হবে।

৬। গর্ভবতী মাকে এই অবস্থায় প্রায় সময়েই ইতিবাচক বই পড়ার মধ্যে সময় কাটাতে হবে। এটি সন্তানের ক্ষেত্রে খুব শুভ প্রমানিত হয়।

৭। যে ঘরে থাকেন, তার দেওয়ালে বাচ্চার ছবি লাগাতে ভুলবেন না। এই ধরনের ছবি মা ও বাচ্চা দু’জনেরই মনকে সতেজ, আনন্দ ও পজ়িটিভ এনার্জিতে ভরিয়ে রাখবে।

৮। এই সময় ঘর ও পোশাকের রং হালকা রাখাই ভাল। হালকা রং ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করে। গাঢ় রং অনেক সময় মনকে অবসাদগ্রস্থ করে তোলে, যা মা ও সন্তান দু’জনের পক্ষেই ক্ষতিকর। ঘরের রং হবে হালকা নীল, সাদা, হালকা গোলাপী ইত্যাদি।

৯। নীল রং শরীরের পক্ষে আরামদায়ক তাই ঘর, পোশাক সব কিছুই নীল রাখতে চেষ্টা করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE