আমরা কখন কাঁদি? যখন আমরা ব্যথা পাই, কষ্ট পাই, দুঃখ যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য, হৃদয়কে ভার মুক্ত করার জন্য আমরা কাঁদি। কান্না পেলে আমরা যদি না কাঁদি, আমাদের শরীরে ক্ষতিকর হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এতে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
কিন্তু আমরা একই ভাবে কাঁদি না কেন? এর পিছনে রয়েছে ব্যক্তিত্ববোধ। আর জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে চন্দ্র থেকে ব্যক্তিত্ববোধের বিচার করা হয়ে থাকে। আর চন্দ্র কালপুরষের যে ঘরে থাকবে তাকেই বলা হয় রাশি। তাই রাশি থেকে ব্যক্তিত্বের বিচার হয়। ফলে এক এক রাশি তার প্রকৃতি অনুযায়ী এক এক রকম ভাবে কাঁদে। প্রত্যেকের কান্না তার নিজের মতো, সবার কান্না একই রকম হয় না।
এ বার আমরা রাশি অনুযায়ী কে কী ভাবে কাঁদে তার একটা সংক্ষিপ্ত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করব-
মেষ- এরা দুঃখ বা বেদনা পেলে হঠাৎ করে খুব জোরে সশব্দে কান্নায় ফেটে পড়ে। চোখ দিয়ে অশ্রু প্লাবনের মতো নামতে থাকে। সাধারণত খুব তাড়াতাড়ি এদের কান্না শেষ হতে চায় না।
বৃষ- এরা ব্যথা, যন্ত্রণা, আঘাত পেলে বা মনে দুঃখ পেলে প্রথমে শক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে।
মিথুন- এরা কারও মৃত্যুতে কষ্ট পেলে, প্রেমে বিরহ যন্ত্রণা পেলে বা অন্য কোনও ভাবে মনে আঘাত পেলে প্রথমে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে। সামনে সে রকম কাউকে পেলে তাকে জড়িয়ে ধরে বা নিজের বুক চাপড়াতে থাকে। একাকিত্ব ভুলতে সে কাউকে জড়িয়ে ধরে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে নিত্য ঝামেলা? এই টোটকায় মিলবে প্রতিকার
কর্কট- রাশি অনুযায়ী এরা অন্তঃচারী, তাই দুঃখ-যন্ত্রণা পেলে এরা সেটা কারও নিকট প্রকাশ করতে চায় না। তাই এরা কাঁদে কিন্তু সে কান্না বাইরের লোকেরা জানতে পারে না।
সিংহ- সিংহ রাজকীয় ভাবের রাশি। এরা দুঃখ, যন্ত্রণা, যাই পাক না কেন, কখনও সেটা তাদের চোখে মুখের ভাব ভঙ্গীতে প্রকাশ করবে না। এরা কান্না লুকিয়ে রাখে।
কন্যা- এরা কান্না পেলে বার বার চোখের জল মুছে ফেলে অন্যকে বোঝাতে চায় যে, সে রকম কোনও দুঃখ পায়নি। তবু তার চোখ জলে ভরে ওঠে।
তুলা- এরা কান্না পেলে অদ্ভুত ভাবে কিছুটা ডুকরে উঠে কাঁদে।
বৃশ্চিক- যখন বৃশ্চিকের জাতক/জাতিকারা দুঃখ, যন্ত্রণা পায়, তখন তার ভিতরটা হয়তো ভেঙে যাচ্ছে, কিন্তু সে কাউকে বুঝতে দেয় না। সে তার হাত দিয়ে চোখ মুখ ঢেকে রেখে যেন বোঝাতে চায়, সে ক্লান্ত এবং অন্যদের বলে সেখান থেকে চলে যেতে।
ধনু- যতক্ষণ না এদের চোখ জলে ভরে যায়, ততক্ষণ বোঝাই যায় না এরা কাঁদছিল।
মকর- বিশাল পরিমাণ দুঃখ যন্ত্রনা এদের গ্রাস করলেও এরা সহজে কাঁদে না।
কুম্ভ- যতক্ষণ এদের চোখ দিয়ে জল না ঝরছে, ততক্ষণ এরা অনেক কথা বলে যায়। দুঃখ ও যন্ত্রণা পেলে তারপর ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে।
মীন- এরা দুঃখ, যন্ত্রণা পেলে প্রথমে চুপ করে থাকে। যখন দেখে তার চার পাশে অনেক লোকজন জড়ো হয়েছে, তখন ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে। আর একটা অদ্ভুত ব্যাপার, এরা যখন কাঁদে, তখন অন্য কোনও ব্যক্তির হাত ধরে বা বুকে মাথা রেখে কাঁদে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy