ফুল ঈশ্বরের এক সুন্দর সৃষ্টি। কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ফুল ছাড়া হয় না। ফুলের সুগন্ধে দেব-দেবীরা খুশি হন। তবে মনে রাখা দরকার, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফুল, চুরি করে আনা ফুল, দেবতাদের অর্পণ করা উচিত নয়। ফুল অর্পণ করার অর্থ হল, আমরা যেন ফুলের পাপড়ির মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানবজীবনের সেবায় আত্মনিয়োগ করি। আমাদের জীবন যেন ফুলের মতো সুবাসিত ও প্রস্ফুটিত হয়।
যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা আছে। আমাদের শরীর যে পাঁচ তত্ত্ব দিয়ে তৈরি, তার মধ্যে অগ্নি অন্যতম। অগ্নি হল জ্ঞানের প্রতীক। জ্ঞান রূপেই সর্বত্র বিরাজমান ঈশ্বর আমাদের মনের অন্ধকার দূর করে আলোর রাস্তা দেখান। প্রদীপের শিখাকে আত্মার সঙ্গে তুলনা করা হয়। আত্মা ও পরম আত্মা উভয়েই জ্যোতিস্বরূপ। তাঁকে দেখার জন্য দিব্যচক্ষু প্রয়োজন। জ্বলন্ত প্রদীপ আত্মজ্যোতির প্রতীক।
ধুনো আত্মজ্যোতির প্রতীক। আমাদের ষঢ় রিপু– কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, ঈর্ষা ও অহংকার ধুনোরূপী আগুনে ভস্মীভূত করা হয়। এ ভাবে প্রতীকের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বুঝতে পারলে ঈশ্বরে আমরা মন সমাহিত করতে পারব এবং এর দ্বারা আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি হবে ও পরম সত্যের দর্শন লাভ হবে।
আরও পড়ুন: আপনার তৃতীয় নয়ন ব্লক নেই তো? এর ফলে কী প্রভাব পড়ে জানেন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy