প্রতীকী চিত্র।
জন্মতিথি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কম বলা হলেও তা ঠিক নয়। চন্দ্র এবং সূর্যের দূরত্বের হিসাবে নির্ণয় করা হয় তিথি। চন্দ্র এবং সূর্যের দূরত্ব যখন ০ ডিগ্রি তখন অমাবস্যা তিথি। সূর্য থেকে চন্দ্রের দূরত্ব ১২ ডিগ্রি অন্তর তিথি পরিবর্তন হয় অর্থাৎ সূর্য থেকে চন্দ্র ১২ ডিগ্রি দূরে গেলে তিথির পরিবর্তন হয়। এই ভাবে সূর্য এবং চন্দ্রের ১৮০ ডিগ্রি দূরত্বে পূর্ণিমা তিথি।
অমাবস্যা থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত মোট ৩০টি তিথি। অমাবস্যা থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত দু’টি পক্ষ, কৃষ্ণপক্ষ এবং শুক্লপক্ষ। কৃষ্ণপক্ষে ১৫টি এবং শুক্লপক্ষে ১৫টি মোট ৩০টি তিথি। জন্মরাশি, জন্মলগ্ন, এবং জন্মমাসের সঙ্গে রঙের সম্পর্ক আমরা অনেকেই জানি। জন্মতিথি অনুযায়ী বিভিন্ন রঙের ব্যবহারও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জন্মতিথি অনুযায়ী কোন রং শুভ–
জন্মতিথি প্রতিপদ এবং অষ্টমী (উভয় পক্ষের) হলে কমলা, ধূসর এবং চকচকে সাদা রং শুভ।
জন্মতিথি দ্বিতীয়া এবং নবমী (উভয় পক্ষের) হলে সবুজ ও হালকা নীল রং শুভ।
জন্মতিথি তৃতীয়া এবং দশমী (উভয় পক্ষের) হল লাল রং শুভ। যে কোনও ধরনের লাল, তবে উজ্জ্বল লাল বেশি শুভ।
জন্মতিথি চতুর্থী এবং একাদশী (উভয় পক্ষের) হল নীল, বেগুনি গোলাপি রং শুভ। তবে তা উজ্জ্বল নয়।
জন্মতিথি পঞ্চমী এবং দ্বাদশী (উভয় পক্ষের) হলে কালো এবং গাঢ় রং, ধূসর রং, গাঢ় নীল বিশেষ শুভ।
জন্মতিথি ষষ্ঠ এবং ত্রয়োদশী (উভয় পক্ষের) হলে সোনালী এবং হলুদ রং, গেরুয়া রং বিশেষ শুভ।
সপ্তমী, চতুর্দশী (উভয় পক্ষের) এবং পূর্ণিমা জন্মতিথি হলে সাদা, হলুদ আভাযুক্ত সাদা এবং খুব হালকা সবুজ রং বিশেষ শুভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy