অন্ধ্র ভাগের সিদ্ধান্তের পরে সেই রাজ্যে তেলুগু দেশমের প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাওয়ের ঐতিহ্যে সওয়ার হতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।
গত বছর অগস্ট মাসেই হায়দরাবাদে সভা করতে গিয়ে মোদী এন টি রাম রাওয়ের স্বপ্ন পূরণের কথা বলেছিলেন। তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে জোট নিয়ে বিজেপির আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। এ বার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনটিআরের মেয়ে দাগ্গুবতী পুরণ্ডেশ্বরী ও তাঁর বিধায়ক স্বামী। আগামিকালই দিল্লি এসে পুরণ্ডেশ্বরী লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। মনমোহন সরকারের মন্ত্রী ছিলেন পুরণ্ডেশ্বরী। সনিয়া গাঁধী তাঁকে পছন্দও করতেন। কিন্তু তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে এখন তিনি বিজেপির দিকেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুরণ্ডেশ্বরী এখন অন্ধ্রের সীমান্ধ্র এলাকার বিশাখাপত্তনমের সাংসদ। প্রায় পাঁচ বছর ধরে মন্ত্রী ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় তিনি কপিল সিব্বলের অধীনে কাজ করেছেন। সনিয়া পছন্দ করতেন বলে খোদ সিব্বলও তাঁকে সমীহ করে চলতেন। সেই পুরণ্ডেশ্বরী বিজেপিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করায় কংগ্রেস শিবির হতাশ। কংগ্রেসের একটি অংশের মতে, বিজেপিও তেলঙ্গানা বিল সমর্থন করেছে। তা হলে তেলঙ্গানার বিরোধিতা করে সেই দলে যোগ দেওয়ার অর্থ কী?
কিন্তু পুরণ্ডেশ্বরী আজ বলেন, “কংগ্রেস তেলঙ্গানা ভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু পরিবার রাজনীতিতে থাকার জন্য জোর দেয়। এই মুহূর্তে বিজেপিই উপযুক্ত বিকল্প।” আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় বিজেপি। অন্ধ্রের বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “ভোটের মরসুমে আসা-যাওয়া চলতে থাকে। কিন্তু যতক্ষণ না চূড়ান্ত ঘোষণা হয়, ততক্ষণ কিছু বলা সম্ভব নয়।”
বিজেপি নেতৃত্ব আশাবাদী, পুরণ্ডেশ্বরী বিজেপিতে যোগ দিলে সীমান্ধ্র এলাকায় দলের শক্তি বাড়বে। এই মুহূর্তে সেখানে দলের তেমন উপস্থিতি নেই। তেলঙ্গানা এলাকায় টিআরএস কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি, যেটি বিজেপির পক্ষে আশাব্যঞ্জক। কারণ, ভোটের পর তারা বিজেপিকেও সমর্থন করতে পারে। সীমান্ধ্রে জগন্মোহনও এখনও তাঁর হাতের তাস দেখাননি। আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি নতুন দল গড়েছেন।
বিজেপি নেতারা মনে করেন, এই মুহূর্তে টিআরএস ও জগনের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা রয়েছে। এই অবস্থায় একমাত্র কংগ্রেস-বিরোধী এনটিআরের পরিবারই বিজেপির তুরুপের তাস হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy